বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ : নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে আসা অ্যাম্বুলেন্সকে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তাদের দলের বেশ কিছু কর্মী দলীয় কার্যালয়ে আটকা পড়লে তাদের উদ্দেশ করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে তারা আহত হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। কিন্তু পুলিশ গাড়িগুলোকে আসতে দেয়নি।
এদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কার্যালয়ে ভেতর প্রবেশ করে পুলিশ। এরপরই কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। এসময় কার্যালয়ের সামনের রাস্তাসহ পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল।

আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীতে সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে উত্তাপের মধ্যে বুধবার নয়াপল্টন ঘিরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

আগের রাত থেকেই নয়াপল্টনে অবস্থান নিতে থাকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে চলতে থাকে বক্তব্য। দুপুরের দিকে সামনের সড়কে নেতা-কর্মীরা ‍পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ দেয় বাধা। শুরু হয় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

সকাল থেকে সেখানে উপস্থিত শ খানেক পুলিশ সদস্য যখন পেরে উঠছিল না, তখন বেলা আড়াইটার দিকে ডাকা হয় অতিরিক্ত পুলিশকে। সাঁজোয়া গাড়িসহ আরও শ দুয়েক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে তারা।

বেলা পৌনে তিনটার দিকে আসে পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট। তবে তারা এসে অ্যাকশনে না গিয়ে টহল দিতে থাকে। অবশ্য তারা আসার আগেই পরিস্থিতি অনেকটা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

তবে পুলিশ যখন অ্যাকশনে ছিল তখন আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে যেতে দেখা যায়। পরে এদের একজনের মৃত্যুও হয় হাসপাতালে।

সংঘর্ষ শুরুর পর অসংখ্য নেতা কর্মীর সাথে আহতরাও বিএনপি পার্টি অফিসের ভিতরে অবস্থান নেন। সে সময় পুলিশের সদস্যরা কার্যালয়ের ভেতর কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল ছোড়ে।

বিএনপি কর্মীরা দাবি করেন, ভেতরে অবস্থান নেয়া অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত ছিলেন। কাঁদানে গ্যাসের কারণে তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

তখন বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স আনা হয় আহতদের সরিয়ে নিতে। কিন্তু গাড়িগুলো নয়াপল্টন কার্যালয়ের সমানে এলে সেগুলোকে দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। তাদের বাধায় দুটি অ্যাম্বুলেন্স ফিরে যায়। এরপর পুলিশ সদস্যদের আবার দলীয় কার্যালয়ের ভেতর কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে দেখা যায়।

আহতদেরকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্সকে বাধা দেয়া এবং দলীয় কার্যালয়ে আবদ্ধ পরিবেশে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।