ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২ : পর্যবেক্ষণ থেকে চুরি। সময় লাগে মাত্র দশ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিট। চট্টগ্রামে ফুটপাত, বাসাবাড়ি বা অফিসের পার্কিং থেকে এভাবেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র।
পুলিশের তথ্য মতে, বন্দরনগরীতে এমন অন্তত চারটি বড় গ্রুপ সক্রিয় । সোমবার (২১ নভেম্বর) একটি চক্রের ১০ জন আটকের পর মিলেছে মোটরসাইকেল চুরির নানা তথ্য।
গত ১৩ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। চট্টগ্রাম মেডিকেল এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবিতে দেখা যায় একটি মোটরসাইকেলকে টার্গেট করে অবস্থান নিয়েছে দুই যুবক।
তার কিছুক্ষণ পরেই অপর একটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই মোটরসাইকেলটি নিয়ে চোর চক্রের সদস্য সেলিম এবং জসিমের পালিয়ে যাবার দৃশ্য।
গত ১৬ নভেম্বরের চকবাজার অলি খাঁ মসজিদ এলাকায় দেখা যায়, একটি মোটরসাইকেল ঘিরে নজারদারি সেই সেলিম, জসিম ছাড়াও হাসেম নামে আরও একজনের। তারা মুহূর্তেই উধাও মোটরসাইকেলটি নিয়ে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর চক্রটির সন্ধানে নামে ডিবি। তারা কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি পর্যালোচনার পর শনাক্ত করে কয়েকজনের পরিচয়। এরপর কক্সবাজার থেকে সেলিম, জসিম ছাড়াও আটক করা হয় সঞ্জয় ও মিজান নামে দুজনকে। উদ্ধার করা হয় ১১টি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
আটকরা স্বীকার করেন কোন কৌশলে তারা খুব কম সময়ে দ্রুত চুরি করে মোটোরসাইকেল। জানান, দলনেতাসহ তিন সদস্যের দল গাড়িটি চারপাশে পাহারা দেয়। তাদের মধ্যে দলনেতা চাবি দিয়ে মোটোরসাইকেলটি খুলে দেয় তখন অন্যরা এটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সময় লাগে মাত্র ১০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিটি।
সিএমপি পুলিশ পরিদর্শক ডিবি (উত্তর) আরিফুর রহমান জানান, ওই চক্রের সদস্যদের মোবাইল নাম্বারগুলো সংগ্রহ করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা মোটোরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এসব চক্র চোরাই মোটোরসাইকেলের বিভিন্ন লক এবং চেসিস মুছে ফেলে খুব কম মূল্যে বিক্রি করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
সিএমপি উপ-কমিশনার ডিবি (উত্তর) মুহাম্মদ আলী হোসেন জানান, বন্দরনগরীতে তিন থেকে চারটা গ্রুপ সক্রিয় আছে। এদের মধ্যে একটা গ্রুপের ৩/৪ জনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
আটক সেলিমের বাড়ি চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে, আর জসিম, মিজান এবং সঞ্জয়ের বাড়ি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়।