‘ফারদিনকে রাত ২টায় লেগুনায় করে তারাবোর দিকে নেওয়া হয়’ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার , ১৭ নভেম্বর ২০২২ : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে সর্বশেষ যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। ঘটনার দিন রাত ২টায় কয়েকজন যুবক তাকে লেগুনায় উঠিয়ে নারায়ণগঞ্জের তারাবোর দিকে নিয়ে যায়। ওই লেগুনার চালক ও তার সহযোগীকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)  প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, ফারদিন নূর পরশকে চনপাড়া নয়, অন্য কোথাও হত্যা করা হয়েছে। তাকে চনপাড়া খুন করা হয়েছে এমন কোন তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাত ২ টার দিকে কয়েকজন যুবক ফারদিনকে যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় তারাবোর দিকে নিয়ে যায়। সুলতানা কামাল সেতু হয়ে বিশ্ব রোডের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরশকে সাদা গেঞ্জি পরা এক লোক লেগুনায় তোলে।

তিনি আরও বলেন, এখনও বলার মতো কোনো অবস্থানে আমরা নেই। পরশের বেড়ে ওঠা চনপাড়া থেকে বেশি দূরে নয়। এটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড চনপড়াতেই যে হয়েছে এটা নিশ্চিত নয়। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে যাদের জড়িত থাকার নাম আসছে তাদের আমরা নজরদারিতে রেখেছি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। গোয়েন্দা পুলিশ সেভাবে কাজ করছে।

যদিও এর আগে পরশের মরদেহ উদ্ধারের পর র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পরশকে চনপাড়া খুন করা হয়েছে। মাদক কারবারিদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় তাকে খুন করা হতে পারে। এরপর তার মরদেহ শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকার মাদক কারবারীরা জড়িত এমন তথ‌্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই সময় মাদকসম্রাট নামে পরিচিতি সিটি শাহিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানান। ফারদিন হত্যার ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। এতে নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলাটি সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।