ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,সোমবার , ০৩ অক্টোবর ২০২২ : কথিত জিহাদের জন্য ঘর ছেড়েছেন ৬০ তরুণ। তাদের সন্ধানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নানা সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরও। এরই মধ্যে নিখোঁজ তিন তরুণের হারিয়ে যাওয়ার আগের কিছু ছবির সন্ধান মিলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নাশকতায় জড়ানোর উদ্দেশেই ঘরছাড়ে এসব তরুণ।
গেল ২৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় সন্তান নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন তানজিম মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি। এতে বলা হয় ১৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় ছেলে রিয়াসাদ রাইয়ান।
এই সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে চ্যানেল 24। হাতে আসে সেপ্টেম্বর মাসের একটি সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা যায়, গেল মাসের ১৮ তারিখ ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারে একটি মাদ্রাসার সামনে দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলছেন রায়হান। কথা বলা শেষে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে কিছুক্ষণ পর দুজনের সঙ্গে বেরিয়ে যান রায়হান।
অনুসন্ধানের তথ্য বলছে রায়হানের কথিত নাম আবু বকর। সঙ্গের দুই যুবক পটুয়াখালীর লাউকাটি গ্রামের মিরাজ ও আলামিন ওরফে মোস্তাক। এর মধ্যে আলামিন নিখোঁজ হন দুমাস আগে। মিরাজ লাপাত্তা কোরবানি ঈদের পর থেকে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর তথ্য মতে, ঘরছাড়া এমন ৬০ জনের একটি তালিকা এসেছে তাদের কাছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ সিলেট, পটুয়াখালী এই যে বিভিন্ন এলাকা রয়েছে এসকল এলাকাতে আরও বেশকিছু ছেলেরা ঘর ছেড়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। শারীরিক প্রশিক্ষণ ও তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ থেকে অনুমেয় তাদের কোনও নাশকতা বা হামলার পরিকল্পনা থাকতে পারে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, কথিত জিহাদের নামে জঙ্গিবাদের উদ্দেশে ঘর ছেড়েছেন তারা। যাদের পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সামরিক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। এদের অর্থায়ন করা হয়েছে বিদেশ থেকে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের চাঁদপুরের একটি এলাকায় নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেখান থেকে পটুয়াখালীর একটি জায়গায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তীতে নির্জন একটি স্থানের তাদের রাখার একটি পরিকল্পনা ছিল। সেক্ষেত্রে তারা দেশেও থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যে তাদের নেয়া হয়েছে তা না। তাদেরকে হয়ত আগামী দিনের কোনও পরিকল্পনা থাকে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্যই তাদেরকে কাজে লাগাতে পারে।
সূত্র মতে, আনসার আল ইসলাম, হিজবুত তাহরির ও নব্য জেএমবির সমন্বয়ে নতুন একটি সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে সংগঠনটির নাম জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।