শাকিব খানের বিরুদ্ধে নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ (ভিডিও)

SHARE
শাকিবের বিরুদ্ধে নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২ : সোশ্যাল মিডিয়ায় বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করার পরই আলোচনার শীর্ষে জায়গা করে নেন অভিনেত্রী বুবলী। এ ঘটনায় নাম জড়ায় ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের। তবে দু’দিন পরে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রথমে অভিনেত্রী ও পরে অভিনেতা অফিশিয়াল এক ঘোষণায় তাদের সন্তানের বিষয়টি প্রকাশ করেন।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ মার্চ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এই তারকা দম্পতি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড জ্যুইশ মেডিকেল হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেন অভিনেত্রী।

এই ঘটনার পর থেকে সোশ্যালে আরও চর্চার মুখে পড়েন শাকিব খান। কেউ ইতিবাচক মন্তব্য করছেন, আবার কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। আর এরই মাঝে শাকিবের বিরুদ্ধে এক নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বোমা ফাটালেন এক লেখিকা ও প্রবাসী সাংবাদিক মিলি সুলতানা।

শনিবার (১ অক্টোবর) ফেসবুকে ভেরিফাইড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের কথা তুলে ধরেন মিলি সুলতানা। লেখিকার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

মিলি সুলতানা লিখেছেন, “অথর্ব খানের ‘সুপারহিরো’ সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। নায়িকা ছিলেন বুবলী। প্রযোজকের কাছে খান সাহেবের ফরমায়েশ ছিল, হোটেলে তার ঠিক পরের কামরা যেন বুবলীর জন্য দেয়া হয়। যাতে বুবলীর সঙ্গে তার লারেলাপ্পা মার্কা রোমাঞ্চ নির্বিঘ্নে কন্টিনিউ করতে পারে। হলোও তাই, সিনেমার শ্যুটিংয়ের সঙ্গে ধুমায়ে চলতে লাগলো তাদের হোটেল রোমাঞ্চ।”

প্রযোজক অ্যানি সাবমেরিন সম্পর্কে লিখেছেন, “২০১৮ সালে তার জন্য বিপদ হয়ে এলো এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রেলিয়ান নারী। জানা গেছে, শাকিবের একটি ছবির সহ-প্রযোজক ছিলেন সেই নারী। তার নাম অ্যানি সাবমেরিন। সেই রমণীকে দেখে মজে যান ঢালিউডের প্রেমকুমার। ভাবলেন, ফ্রিতে হাড়িপ্পা হাড়িপ্পা খেললে মন্দ কি? অ্যানি সাবমেরিন বিবাহিতা। তার স্বামী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। অ্যানিকে আমাদের দেশের মোশাররফ করিম-তাহসান-কনারা ভালো করে চেনেন হয়তোবা। তার সঙ্গে মোশাররফ করিমের ভাব ধরা ভ্যারাইটিজ সেলফি দেখে সেটাই মনে হলো।”

অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে শাকিব খানের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে লেখিকা মিলি সুলতানা লিখেছেন, “২০১৮ সালে অ্যানি মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলেন স্বঘোষিত কিং খানের উদ্দেশ্যে। তিনি কিং খানের অশ্লীল যৌনতার শিকার হয়েছেন। যার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ডাক্তারের কাগজপত্রেও সেই উল্লেখ ছিল। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে খান সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অ্যানি সাবমেরিন। পুলিশ নায়ককে আটক করতে যাওয়ার আগে খবর পৌঁছে যায় তার কানে। ফোন করেন জনৈক প্রভাবশালী ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারকে। সেই প্রভাবশালী ল’ইয়ার খান সাহেবের দোসর বনে যান, পুলিশের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। পুলিশের গ্রেপ্তার থেকে বেঁচে যান কিং খান। অ্যানি সাবমেরিন যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেই হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ছিলেন তার স্বামী। স্ত্রীর চারিত্রিক স্খলন দেখে ডিভোর্স দেন। কিং খানের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি গোপনে প্লেনের টিকিট কেটে তাকে প্লেনে বসিয়ে দেন। এভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে চম্পট দেন কিং খান।”

তিনি আরও লিখেছেন, “ধর্ষণের বিষয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেছেন, ‘আমি কেন তাকে (অ্যানি) রেপ করতে যাব? বরং সে-ই আমাকে ড্রিংক করিয়ে বেসামাল করে দেয়। তারপর যা হয়েছে তা দু’জনের সম্মতিতেই হয়েছে। অ্যানি আমাকে প্রলুব্ধ করেছে। এমন অবস্থায় আমি কি তসবি পড়ব…?’ মজার বিষয় বুবলীও তখন অস্ট্রেলিয়া ছিলেন। কিন্তু বুবলী ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার পিঠ-পিছে অ্যানি সাবমেরিনের সঙ্গে লীলাখেলায় মেতেছিলেন তার প্রেমকুমার। হায়রে এভাবেও কেউ ঠক খায়?”