ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ : নতুন ইতিহাস নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের নারীরা। নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছে সাবিনার দল।
প্রজাপতির মতো উচ্ছল হয়ে মাঠে ছুটে বেড়ানো মেয়েগুলোর জীবন হাজারো দুঃখ, কষ্টে মোড়ানো। সানজিদা, মারিয়া, স্বপ্নাদের ওঠে আসার গল্পটা তাই একটু অন্যরকমই।
দেশে তৈরি হয়েছে নারী ফুটবলের জাগরণ। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা মেয়েরাই করছেন অসাধ্য সাধন।
একেকটা মেয়ের জীবনের গল্প সিনেমাকে হার মানাবে, মাঠের খেলা দেখলে মনে হবে লাল-সবুজের জার্সিতে একেকজন যোদ্ধা যুদ্ধের ময়দানে লড়ছে।
সানজিদার কথায়, আমরা একজন ফুটবলারের চরিত্রে মাঠে নামবো এমনটা নয়। এগারো জনের যোদ্ধাদল মাঠে থাকবে, যে দলের অনেকেই এই পর্যন্ত এসেছে বাবাকে হারিয়ে, মায়ের শেষ সম্বল নিয়ে, বোনের অলংকার বিক্রি করে। অনেকে পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন হয়ে।
ফাইনাল ম্যাচের আগে সানজিদার এমন আবেগ আর দৃঢ়তাই বলে দেয় তাদের জীবন সংগ্রামের কথা। রংপুরের পালিচড়ার মেয়ে স্বপ্নার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন আটকাতে পারেনি মা-বাবা।
বাল্যবিবাহের হাত থেকে বেচে হয়ে ঊঠেছেন দেশ সেরা ফুটবলার। এই তো সেদিন প্রধানন্ত্রীর অনুদানের টাকা দিয়েই বানাতে পেরেছেন পাকা ঘর।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের এক তাঁতির ঘরে জন্ম আঁখির। মায়ের সাথে নিজেও সূতা বোনার কাজ করতেন। তিনি এখন দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আরেক তুরুপের তাস কৃষ্ণা রাণী রানী সরকার, অভাবকে পাশ কাটিয়ে যিনি লড়ে যাচ্ছেন দেশের জন্য।
সাবিনা, মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, স্বপ্নারাই প্রজাপতির মতো উচ্ছল হয়ে ছুটে বেড়ান মাঠে। হাজারো দুঃখ, কষ্টর কথা ভুলে যান দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামলে।
এরাই দেশের আগুন কন্যা, এরাই এক টুকরো বাংলাদেশ।