আ.লীগ নেতা সায়দার হত্যার রহস্য উদঘাটন
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),পাবনা প্রতিনিধি,বুধবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ : ইউপি নির্বাচনে পরাজয় ও জমি নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান ওরফে সায়দার মালিথার বিরোধ চলছিল।
এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারে এগিয়ে যাচ্ছিল সায়দার। এ জন্য পথ থেকে সরিয়ে দিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথার বাড়িতে বসে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়। পরে নির্দেশনা পেয়ে কিলিং মিশনে নেতৃত্ব দেন আলাউদ্দিনের ভাতিজা আনোয়ার আহমেদ স্বপন। সে তার পাঁচ সহযোগী নিয়ে সাইদুর ওরফে সায়দার মালিথাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পাবনার সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সায়দার মালিথা হত্যাকাণ্ডের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে অস্ত্রসহ বেশকিছু আলামত।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার গাফুরিয়াবাদ গ্রামের আনোয়ার আহমেদ স্বপন (৪২), পৌর সদরের চক ছাতিয়ানি মহল্লার আশিক মালিথা (২৮), একই মহল্লার আলিফ মালিথা (২২), কাশিপুর গ্রামের রিপন খান (২৭), গোপালপুর মাটি সড়ক মহল্লার নুরুজ্জামান রাকিব (২৪) এবং একই এলাকার ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি (২৬)।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর মুনসী বলেন, হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা চেয়ারম্যান থাকাকালে তার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান ওরফে সায়দার মালিথাসহ তার লোকজনদের আনুমানিক ৬০/৭০ বিঘা সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছিলেন।
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাউদ্দিন মালিথা হেরে গেলে উক্ত সম্পত্তি তার চাচাতো ভাই সায়দার মালিথা ও তার লোকজন নিজেদের দখলে নিয়ে চাষাবাদ করে।
উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ছোট খাটো মারামারির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলাউদ্দিন মালিথার ভাই সঞ্জু মালিথাকে হেমায়েতপুর মন্ডল মোড়ে সায়দার মালিথার লোকজন মারধর করে। এতে আলাউদ্দিন মালিথা ক্ষিপ্ত হয়ে সায়দার মালিথাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ইতোমধ্যে মূল পরিকল্পনাকারীকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাকেও খুব শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।