২৬০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে চসিকের নয় ছয় (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,মঙ্গলবার , ৩০ আগস্ট ২০২২ : চট্টগ্রাম নগরকে আলোকিত করতে প্রায় ২৬০ কোটি টাকার এলইডি প্রকল্পটি হাতে নেয় সিটি করপোরেশন। যার কাজ শুরু হওয়ার কথা বছর আগে। কিন্তু শুরুতো হয়ইনি উল্টো ঘিরে ধরেছে অনিয়ম। যার অন্যতম দরপত্র মূল্যায়ন। অভিযোগ এতে সুযোগ দেয়া পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভূক্ত ঠিকাদার।

এই ঠিকাদার হচ্ছেন আফতাব আহমেদ। চসিকে জমা দেয়া হলফনামায় বলেছেন তিনি নিজে বা তার প্রতিষ্ঠান কখনো কালো তালিকাভুক্ত হননি। অথচ তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এস এল ২০২০ সালে অনিয়মের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত হয়। একইভাবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি মামলারও চার্জশিটভুক্ত।

একই মালিকের আরেক প্রতিষ্ঠান এইচটিএমএস অংশ নিয়েছে এলইডি প্রকল্পের দরপত্রে। এতে মানহীন স্যাম্পল দিয়ে তা প্রত্যখ্যান হলেও এগিয়ে আছে কাজ পাওয়ার দৌড়ে। অভিযোগ আন্তর্জাতিক দরপত্রের বিধি অনুযায়ী শতভাগ কাজের অভিজ্ঞতার শর্ত থাকলেও তা ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে শুধুমাত্র এইচটিএমএস-কে দরপত্রে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে। এই অনিয়মের অভিযোগের তীর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের দিকে।

তবে এসব বিষয়ে কোন উত্তর দিতে রাজি হননি ঝুলন দাশ। ক্যামেরা দেখেই সরে পড়েন অফিস থেকে।

চসিকের বিদ্যুত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ বলেন, আমাদের কিছু বলার সুযোগ নেই।

আফতাব আহমেদের কার্যালয় ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায়। মুঠোফোনে তিনি দাবি করেন তার প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিয়েছে সেটিই নাকি তিনি জানেন না।

এইচটিএমএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ বলেন, আমি এটার এমডি এইচটিএমএস এ কাজের অংশগ্রহণই করে নাই।

এলইডি প্রকল্প ঘিরে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঝুলন দাশের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন সিটি মেয়রও।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কেউ যদি ঝুলন কুমার দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিত তাহলে আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারতাম। কিন্তু কেউ বলেনি যে এ কাজটা উনি এভাবে করছেন।

এইচটিএমএস এর আগে বাগিয়ে নেন চসিকের ৫৪ কোটি টাকার এলইডি কাজও। চলমান সেই প্রকল্প নিয়ে চুয়েটের রিপোর্ট বলছে, তাদের কাজ মানহীন। লাইটের খুটিগুলো কোথাও জং ধরেছে আবার কোথাও ভেঙে পড়েছে। যা কর্পোরেশনের প্রতিবেদনেও উঠে আসে।

সুশাসন নিয়ে কাজ করা আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলছেন, এমন অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন না চসিকের সংশ্লিষ্টরা। তিনি বলেন, ২৬০ কোটি টাকা এটা তো ভাগাভাগি হবেই। একটা লাইট কিনবে ধরেন ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিন্তু দেখা যাবে ২ লাখ ২০ হাজার রেট কোর্ট করেছে। অতীতেও এরকম হয়ে এসেছে।

জাইকার অর্থায়নে চসিকের এলইডি প্রকল্পের সবগুলোতেই অভিযোগ উঠে বিস্তর অনিয়মের।