ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি, শুক্রবার , ১৯ আগস্ট ২০২২ : প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন। শুধুমাত্র মেধা ও কঠোর শ্রম দিয়ে গড়েছিলেন তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। সময়ের পরিক্রমায়, সেই প্রতিষ্ঠানে অনেকেরই কর্মসংস্থান হয়।
সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ দেলোয়ার হোসেন জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। যে মামলায় ১ নাম্বার আসামি করা হয় তাকে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সেই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা ছিলেন, দেলোয়ার হোসেনের ভগ্নিপতি মুক্তিযোদ্ধা সোবহান মিয়া এবং অফিসের নারী স্টাফসহ ২ কর্মচারী। অভিযোগে বলা হয়, সেই নারী অ্যাকাউন্টেন্টকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন। দ্বিতীয় দফায় ব্ল্যাকমেইল করে সোবহান মিয়া তাকে ধর্ষণ করেন। অফিসের নারী স্টাফসহ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই অপকর্মে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
অ্যাকাউন্টেন্টের মামলায় নিঃস্ব দেলোয়ার হোসেন জীবনের অনেক হিসাব মিলিয়েছেন, শুধু মেলাতে পারেননি তার বিনিয়োগের অর্থের হিসাব। সহকারি সেই অ্যাকাউন্টেন্টের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন দেলোয়ার হোসেন। তারপর যা ঘটল, সেটা কল্পনাও করতে পারেননি ব্যবসায়ী দেলোয়ার।
এরপর কেটে গেছে একে একে ১৩টি বছর। ধর্ষণের অভিযোগ মাথায় নিয়েই মৃত্যুবরণ করেন গুলশান থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোবহান মিয়া। শেষমেষ তারা অব্যাহতি পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু ততদিনে সবাই সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
এক নারী নির্যাতন মামলার ছোবলে, এভাবে ক’জন সর্বস্বান্ত হচ্ছেন তার সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। আশঙ্কার বিষয় হলো ২০ বছরের পুরোনো এই আইনের অপব্যবহার দিন কে দিন বাড়ছে।
স্পর্শকাতর এমন মামলা শধু প্রতারণার অস্ত্র হিসেবে নয়, পারিবারিক দ্বন্দ্বেও এ ধরনের বিশেষ আইনের অহরহ ব্যবহার হচ্ছে।
বিস্তারিত পড়ুন ভিডিওতে-