ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,২৯ জুলাই, ২০২২ : গত কয়েক বছর ধরে প্রতি ঈদে নানা আয়োজনে গানের অনুষ্ঠান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়ে থাকেন ড. মাহফুজুর রহমান। বরাবরের মতো এবারও শ্রোতাদের গান শুনিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালের ঈদুল আযহায় প্রথমবারের মতো সংগীতশিল্পী হিসেবে অভিষেক করেন ড. মাহফুজুর রহমান। ওই সময় থেকে আলোচনায় আসেন তিনি। তারপর থেকে প্রতি ঈদে তার একক সংগীতানুষ্ঠান হয়। যা নিয়ে প্রতি বছরই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকেন তিনি।
সম্প্রতি ড. মাহফুজুর রহমান তার গান পরিবেশনার বিষয়ে কথা বলেছেন। বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়। এ বিষয়ে ড. মাহফুজুর বলেন, আমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অনেক কিছুই বলে। এটা প্রায়ই দেখি। বিশেষ করে গান করার পর থেকে এটা বেশি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের বন্ধু থাকে, শত্রুও থাকে। যারা আমাকে হিংসা করে, আমার সঙ্গে পেরে উঠে না, মিডিয়ারই হোক বা অন্য জায়গারই হোক। যারা আমার সঙ্গে পেরে উঠে না তারাই কিন্তু এ কাজগুলো করায় অন্য কাউকে দিয়ে।
আলোচনা-সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কথা হলো হিংসা করার তো কিছু নেই। তোমরা পারলে তোমরাও করো। আমি গান করি এটা তাদের সহ্য হয় না, কেন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলাম এটাও সহ্য হয় না। কিছু লোক আছে, যারা সব সময় আমার পেছনে লেগে আছে।
মিডিয়া ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জড়িত থাকলে গত চার-পাঁচ বছর ধরে সংগীত নিয়ে কাজ করছেন মাহফুজুর রহমান। হঠাৎ করে কেন মনে হলো গান করতে হবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৪ সাল থেকে আমরা শিল্পী তৈরির কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি বছরই আমরা কিছু কিছু শিল্পী বের করি। এর মধ্যে এক্সক্লুসিভ কিছু শিল্পী তৈরি করেছি আমরা। এই শিল্পী তৈরির পুরো কাজে আমি জড়িত থেকেছি। গানের রেকর্ডিং, মাস্টারিং ও সাউন্ড সিস্টেম চেক-সব সময় আমি সঙ্গে থেকেছি। আমরা এ পর্যন্ত যেসব শিল্পীর অ্যালবাম করেছি তাদের সবার গানের মাস্টারিং আমার করা।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সম্ভবত প্রায় দেড়শ গান করেছি আমি। প্রতিটি গানের মিউজিক থেকে শুরু করে সবকিছু আমার নিজের হাতে করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরসের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান বলেন, কিছু লোক এসব কাজ করায়। যাতে আমার মান ক্ষুণ্ণ হয়। কিন্তু আমি তাদের ধন্যবাদ দেই। যারা আমার মান ক্ষুণ্ণ করতে চেয়েছে বা আমাকে ছোট করে দেখাতে চেয়েছে, তাদের জন্যই আজকে আমি ফেমাস। ফেসবুকের এই নেগেটিভ সমালোচনার জন্যই ফেমাস হয়েছি আমি। যখন ফেসবুকে নেগেটিভ সমালোচনা হয় তখন লোকজন ভাবে, দেখি কেন এত সমালোচনা হয়, লোকটা কি গায়। এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছে। কিন্তু এখন তারা কেউ কথা বলে না।