ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার প্রতিনিধি, শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২ : ২০ মণ ফিরনি একসঙ্গে রান্নার প্রস্তুতি চলছে। তাই কেউ পাউডার গুলিয়ে তৈরি করছেন দুধ আর কেউ আনছেন চালের বস্তাসহ নানা উপকরণ। এলাহী এই কারবার চলছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাইজভান্ডার দরবার শরীফে। পরীক্ষামূলকভাবে যা রান্না করা হবে নতুন স্থাপিত বৃহৎ পাত্রে। প্রায় চার হাজার কেজি স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে পাত্রটি বসিয়েছে হোসনে আরা মঞ্জু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
আজমীর শরীফের আদলে তৈরি এই পাত্রে একসঙ্গে রান্না করা যাবে আড়াইশো মণ খাবার। যা খেতে পারবে এক লাখের বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে পাত্রটিতে রান্নার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ফাউন্ডেশনের ও সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য এটা তবারক। খাজা সাবের দরবার সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে যে কেউ আসতে পারে, যে কেউ ইবাদত করে। এখানের তবারকটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমরা এটা করেছি আল্লাহপাক যাতে কবুল করেন।
প্রায় ১১ ফুট প্রস্থ এবং ৯ ফুট উচ্চতার এই ডেকচিটি তৈরিতে সময় লাগে তিন মাস। রান্নার জন্য বসানো হয় ১০ ফুট উচ্চতার চুল্লী। ডেকচিতে ঘুরানোর জন্য বসানো হয় অটোমেটিক ক্রেণ।
মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বলেন, খাজা বাবার দরবারে এ ধরণের দুইটা ডেকচি আছে। ওখানে বড় যে ডেকচিটা আছে ওইটার অনুকরণ করেই আমাদের এটা করা। আমরা ওখান থেকেই মূলত অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
দেশের সবচেয়ে বড় এ পাত্রে রান্না করতে পেরে খুশি বাবুর্চি ও স্থানীয় মাজারের ভক্ত-আশেকানরা।
বাবুর্চি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার অনেক ইচ্ছা ছিল যে আল্লাহ আমি কখন বড় ডেকচিতে পাকাব। আল্লাহ আজকে আমার ঐ আশাটা পূরণ করেছে।
স্টেইনলেস স্টিলে পাত্রটি তৈরিতে খরচ হয় ২৫ লাখ টাকা। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লেগেছে কোটি টাকা। মাইজভান্ডারীর দরবার শরীফের ঐতিহ্যবাহী তিনটি বড় ওরশসহ বিভিন্ন বিশেষ দিনে শাহী জর্দা ভাত, সবজি ও খিচুড়ী রান্না পরিকল্পনা আছে এই পাত্রে।