ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,বুধবার, ২২ জুন ২০২২ : রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার মোসলে উদ্দিন হত্যা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকসহ ১১০ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামের জেরা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আগামী ৩ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এতথ্য জানান।
এদিন সকালে মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে করে তাকে আনা হয়। রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়। দুপুর আড়াইটার দিকে হুইল চেয়ারে করে তাকে এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এজলাসে গিয়ে একটি বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে, মামুনুল হককে দেখতে আদালতে হাজির হন তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ শিক্ষার্থীরা। তাকে এক পলক দেখতে সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় ভিড় জমান তারা। মামলার শুনানিকালে আদালতের বাইরে অপেক্ষা করেন তারা। শুনানি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষায় ছিলেন।
জানা যায়, কোমরের ব্যথায় ভুগছেন মামুনুল হক। হাঁটা-চলায় তার সমস্যা হয়। এজন্য তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানাধীন কিয়াংসী চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে রাস্তার অপর পাশে মিরপুর থানাধীন ছলিমুদ্দিন মার্কেটের গলির মুখে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ও হাতবোমা ছুঁড়তে থাকে। এতে জখম হন মোসলে উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোসলে উদ্দিনের মেয়ের জামাই মো. মিন্টু মোল্লা ওই দিনই মিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ১১০ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।