জয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ফয়সাল (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন ২০২২ : দুই বাংলা তার প্রেমের বানভাসি। নেট মাধ্যমে অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তিনি কী করছেন, কোন পোশাক পরছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন- এ নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তবে অভিনেত্রীর থেকেও বেশি কৌতূহল তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। জয়া আহসানের ‘গুডবুক’-এ থাকতে চান এমন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের সংখ্যাও কম নয়।

পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই নায়িকা এ মুহূর্তে কোনো সম্পর্কে আছেন কি না- তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তিনি যে একসময় গভীর প্রেমে ছিলেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

জয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন ফয়সাল মাসুদ। ফয়সালকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জয়া। জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন বিত্তবান। জয়ার সঙ্গে ফয়সালের দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই প্রথম দেখার কথা ফয়সাল বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।

একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে জয়ার সঙ্গে ফয়সালের প্রথম দেখা। শুরুটা হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। সময়ে আসতে পারেননি ফয়সাল, মেকআপের পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয়াকে। রেগে গিয়ে কথা শোনাতে ছাড়েননি জয়া। এ রাগই আবার অনুরাগে রূপ নিতে বেশি সময় লাগেনি। ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। গভীর প্রেমে পড়েই ফয়সালকে বিয়ে করেছিলেন জয়া।

তাদের ১৩ বছরের দাম্পত্য কেন টিকল না, তা আজও রহস্য। জমিদার ঘরনি হয়ে জয়ার গুছিয়ে সংসার করা, একে অপরের প্রতি কতটা অনুরক্ত ছিলেন তারা? তাদের কাছের মানুষরা জানেন সব। এত কিছুর পরও কেন ভেঙে গিয়েছিল তাদের সাজানো সংসার? প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত পাওয়া যায় ফয়সালের কাছে। ঠিক কী কারণে ভেঙে গিয়েছিল সেই সংসার, এতদিন পর তার পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বিয়ের পরও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া-ফয়সাল। জনপ্রিয় তারকা জুটিও হয়ে উঠেছিলেন। এরপরই ছন্দপতন। কোথাও যেন জনপ্রিয়তা বাড়ছিল জয়ার। তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন ফয়সাল। এ সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যের অসাফল্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে বাড়তে থাকে মনোমালিন্য। দূরত্ব ক্রমশ বাড়তেই থাকে। চেষ্টা করেও যা ঠিক করতে পারেননি ফয়সাল। যার পরিণতি বিবাহ বিচ্ছেদ। ২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে যান তারা।

তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে জয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জয়া আহসান বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রেও কাজ করেন সমানতালে। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।

তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ব্যাচেলর। তিনি নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত সৈয়দ শামসুল হকের নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত গেরিলা চলচ্চিত্রে বিলকিস বানু চরিত্রে এবং রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি চলচ্চিত্রে সাংবাদিক নবনী আফরোজ চরিত্রে অভিনয় করে টানা দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি অনিমেষ আইচ পরিচালিত জিরো ডিগ্রি ও অনম বিশ্বাস পরিচালিত দেবী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।