
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২ : উৎসুক জনতা আর পুলিশ, সবার চোখ একটি নীল রঙের ড্রামের দিকে। যার ভেতরে এসিডে ঝলসানো যুবকের মরদেহ। পা কাটা, গোপনাঙ্গে ঝুলছে ব্লেড। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার এই মরদেহ পুড়ে কঙ্কাল হওয়ায় নেয়া যায়নি আঙুলের ছাপ। জানা যায়নি নাম-পরিচয়।
গত দেড় মাসে শুধু এই এলাকাতেই এমন তিনটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি দুটোর আঙুলের ছাপ নেয়া গেলেও এনআইডি সার্ভারের ডেটার সঙ্গে তা মিলেনি। পুলিশের ধারণা, হয়তো তারা ভোটার নন। তবু ডিএনএ নমুনা টুকে রেখে কিংবা নিখোঁজদের তথ্য যাচাই করে বা বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যান তদন্তকারীরা।
অজ্ঞাত এসব মরদেহের ভবিষ্যৎ কি? পুলিশ বলছে, নাম পরিচয় বের না হলে ধীরে ধীরে গতি কমে তদন্তে। প্রতি বছর হাজারখানেক বেওয়ারিশ মরদেহ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।
আঘাতের দাগ দেখে নিশ্চিত খুন বুঝতে পারলেও অজ্ঞাত হওয়ায় এমন খুনের বিচার নিশ্চিতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এমন বেওয়ারিশ মরদেহ মর্গে হিমায়িত রাখা হলেও নানা সীমাবদ্ধতায় কোনো একপর্যায়ে দাফনের জন্য দেয়া হয় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে। যারা প্রতি বছর গড়ে হাজারখানেক পরিচয়হীনকে দাফন করেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৬৫। এ বছরের প্রথম ৪ মাসেই ১৪৪ জন অজ্ঞাতকে দাফন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, অজ্ঞাত বা ক্লুলেস যাই হোক, সদিচ্ছা থাকলে সব মামলারই সমাধান সম্ভব। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র কেবল ভোটার কার্ডে সীমিত না রেখে সব বয়সীর জন্য উন্মুক্ত করলে কমবে অজ্ঞাত মরদেহের সংখ্যা।