ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মেহেরপুর প্রতিনিধি,শনিবার, ২১ মে ২০২২ : মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার দৌরাত্ম নিয়ে খবর প্রকাশের পর অনেকের দাবি ষড়যন্ত্রের শিকার তারা। একই সঙ্গে অনুসন্ধানে খুঁজে পাওয়া একজনের মুখোমুখি হলে দেন নানা হুমকি। প্রশাসনের দাবি অনলাইন জুয়ার আড়ালে সক্রিয় হয়ে উঠেছে হুন্ডি ব্যবসা।
অনলাইন জুয়া নিয়ে সম্প্রতি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। যেখানে উঠে আসে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের জড়ানোর বিষয়টি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নামে গড়ে তোলে অর্থের পাহাড়। অনুসন্ধানে খোঁজ মেলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। যাদের একটি জামান বস্ত্রালয়।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারীর দাবি ট্রেড লাইসেন্স চুরি করে এজেন্ট আনোয়ারের মাধ্যমে প্রতারণা করে তার শ্যালক সজিব। তিনি বলেন, আমার যে শ্যালকের বন্ধু সে আমার দোকানের ড্রয়ারের ভেতর থেকে ট্রেড লাইসেন্স চুরি করে নিজের স্বাক্ষর ও ফিঙ্গার দিয়ে সিমটা কিনেছে।
খোঁজ নিয়ে মেলে অঢেল সম্পদের মালিক সজিব। মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার একটি জমিতে তৈরি করছেন কোটি টাকার ইন্ডোর স্টেডিয়াম। কয়েক বছর আগে চাকরি করতেন একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে। বেতন পেতেন ৭ হাজার। সম্পদ গড়ার গল্প জানতে চাইলে দেন মামলার হুমকি। দাবি করেন চেনেন না এজেন্ট আনোয়ারকে। যদিও আনোয়ার বলছে সজিব তার বন্ধু।
সজিব বলেন, আপনি আমার কাছে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনার কাছে প্রমাণ আছে আপনি লেখেন। আর আপনি যদি প্রমাণ না করতে পারেন আমি তার নামে মামলা দেবো, আমি বলে দিয়েছি। আমি পারলে কোর্টে দেখবো।
এদিকে এজেন্ট আনোয়ার ফোনে বলেন, আমরা সবাই বন্ধু। আমরা মিলেমিশে চাকরি করেছি এটুকু সম্পর্ক।
পুলিশ জানায়, মূলত হুন্ডির মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার অর্থ পাচার হচ্ছে বিদেশে।
মেহেরপুর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মামুনুল আনছারি বলেন, এই টাকাগুলো অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে তারা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি, এর সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
চ্যানেল 24এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে আসে ৮৩টি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮৩টি সিমে এক মাসে লেনদেন হয় ২০০ কোটি টাকা।