ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২০ মে ২০২২ : বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি” কালজয়ী গানের সুরকারের জীবন প্রদীপ থেমে গেছে লন্ডনে। ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
গাফফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে ঢাকায় দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শিগগিরই তাঁর মরদেহ ঢাকায় আনার সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে কাল শুক্রবার লন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদে বাদ জুমআ আবদুল গাফফার চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।
পরবর্তী সময়ে ‘সংবাদ’, ‘সওগাত’, ‘মেঘনা’, ‘চাবুক’, ‘আজাদ’, ‘জনপদ’, ‘বাংলার ডাক’, ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’, ‘নতুন দেশ’, ‘পূর্বদেশ’সহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেন। প্রবাসে বসেও গাফফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোয় নিয়মিত লিখেছেন।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ কালজয়ী গানের স্রষ্টা আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাঁর স্মৃতিচারণ করে সাবেক সহকর্মী ও ইত্তেফাকের কর্ণধার আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, সাংবাদিকতার অন্যতম এক প্রদীপ নিভে গেল।