ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্রে রুশ বিমান বিধ্বস্ত

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শনিবার, ০৫ মার্চ ২০২২ : ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে রাশিয়ার একটি বিমান গুলি ভূপাতিত করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা (এসইএস) বিভাগ এমন দাবি করেছে।

শহরটিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তীব্র লড়াই চলছে। একটি আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো প্রাণহাটি ঘটেছে কি না, তা বলতে পারিনি এসইএস।

বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে চারটি বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। তিনটি ৫০০ কিলোগ্রামের বোমা পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় চেরনিহিভে ১৭ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তবে এসব তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

রাশিয়ার বিমান নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন, সেখানে মার্কিন দূতাবাসে লুকিয়ে আছেন। দেশটির বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা ইলিয়া কিভা এমন দাবি করেছেন।

শনিবার (৫ মার্চ) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা স্পুটনিক নিউজ এমন খবর দিয়েছে। তবে এই দাবি নিয়ে পোল্যান্ডে মার্কিন দূতাবাস কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যদিও ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার কার্যালয়ে বসে কাজ করছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, প্রতিটি মুহূর্তে খবর আসছে, আমি ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছি। কিন্তু আমি এখনো এখানে আছি। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান অ্যান্ড্রে বোরিসোভিকও কিয়েভে অবস্থান করছেন। কেউ পালিয়ে যায়নি।

শুক্রবার রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্টেট দুমার স্পিকার ভিচেসলাভ ভলোদিন বলেছেন, জেলেনস্কি ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছেন। এরপরে ইউক্রেনের সুপ্রিম কাউন্সিল ভেরখোভনা রাদা জানিয়েছে, জেলেনস্কি ইউক্রেন ছাড়েনি। তিনি বর্তমানে কিয়েভে আছেন।

এর আগে জেলেনস্কির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ান-ইয়াভেস লি দ্রিয়ান বলেন, প্রয়োজন হলে আমরা তাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তাকে আশ্রয় দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তখন জেলেনস্কি বলেন, এখানে যুদ্ধ চলছে। আমার গোলাবারুদ দরকার। ইউক্রেনের নাগরিকেরা তাদের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে গর্ব করেন।