‘গুম হওয়া’ নারীকে দেড় বছর পর উদ্ধার

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ : সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর হত্যা, গুম ও পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মিথ্যা মামলার ভিকটিম শারমিন সুলতানাকে উদ্ধার করেছে সাতক্ষীরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ফলে দীর্ঘ এক বছর আট মাস পর জট খুলল সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় সাতক্ষীরা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ জানান, এক বছর আট মাস আগে হঠাৎ নিখোঁজ হন সাতক্ষীরা সদরের পশ্চিম পলাশপোল এলাকার আব্দুল হামিদ ওরফে হামিজউদ্দীনের মেয়ে শারমিন সুলতানা (২৮)।

 
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে শারমিন সুলতানাকে হত্যা বা গুম অথবা পাচার করা হয়েছে মর্মে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শারমিনের বাবা। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম শারমিন সুলতানাকে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এলাকা থেকে মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধার করে। এসময় তার সঙ্গে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভিকটিমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রথমে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান ভিকটিমকে উদ্ধারের নিমিত্তে আদালতে ঘটনাটি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে আদালত অভিযোগটি সদর থানায় নথিভুক্ত করতে নির্দেশনা দেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালিন এসআই অপর্ণা বিশ্বাস ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে ব্যর্থ হলে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স পিবিআই সাতক্ষীরাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশনা দেন।
 
এ ব্যাপারে শারমিন সুলতানার স্বামী শহরের ইটাগাছা এলাকার হাবিবুর রহমান জানান, সাড়ে তিন বছরের ছেলেকে রেখে হঠাৎ বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে উধাও হয়ে যায় আমার স্ত্রী। এরপর আমার শ্বশুর ও আমিসহ আমার পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, অপহরণ ও পাচারের অভিযোগ তুলে মামলা করেন। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। অবশেষে আমার কথার সত্যতা পেয়েছে পিবিআই।
 
এদিকে মিথ্যা মামলা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে তার পরিবার। জেল খাটতেও হয়েছে। এখন সত্য উৎঘাটন হয়েছে। তিনি এসময় এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য মামলার বাদী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।