ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নিবার্চনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভের পর মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী মিষ্টি ও ফুল নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় গিয়েছেন।সোমাবার বিকাল ৫টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের মাসদাইর এলাকায় তৈমুরের বাসভবনে যান সেলিনা হায়াৎ আইভী। এসময় সালাম করে দোয়া চান আইভী। শুভেচ্ছা জানান তৈমুর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের। পরে মিষ্টি একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আপেল, মাল্টা এবং দুই পদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন তৈমুর আলম খন্দকার। গনমাধ্যমকে তিনি জানান, আইভীর সাথে তার পারিপারিক সম্পর্ক। সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। ভোটের মাঠে কি হয়েছে সেটি এখন অতীত, ঠিকে থাকবে পারিবারিক সম্পর্ক।এসময়, যেকোন বিপদে-আপদে সুযোগ সুবিধায় সব সময় নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পাশে থকবেন বলে মন্তব্য করেছেন পরাজিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।আর সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, তৈমূর আলমের পরামর্শ নিয়ে সুন্দর নগরী গড়তে কাজ করবেন। নির্বাচন নিয়ে কোন বিভেদ নেই বলেও জানান তিনি। এসময় তৈমুর আলমের কাছ থেকে যেকোন বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন বলেও জানান নারায়ণগঞ্জ সিটির নবনির্বাচিত মেয়র আইভী।এরআগে দুপুরেও নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের আইভী বলেছিলেন, আজকে তৈমুর কাকার বাসায় যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি তো এখন বাসায় নেই। দেখি বিকালে যদি উনি বাসায় থাকেন তাহলে হয়তো যাওয়ার চেষ্টা করব।
উনি আমার মুরুব্বি। উনার সঙ্গে পরামর্শ করে আগেও কাজ করেছি, এখনও করি। উনি যে ইশতেহার দিয়েছেন, সেখানে যে কাজগুলো সহজে করা যায়, সেগুলো অবশ্যই করব বলে জানান নবনির্বাচিত মেয়র আইভী।১৯২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইভীর কাছে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটে পরাজয় হয়েছে স্বতন্ত্রী প্রার্থী তৈমুরের।২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।