স্বামী বিদেশ, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে খুন

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি ,রোববার, ০২ জানুয়ারি ২০২২ : বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নরসিংদীর রায়পুরায় গৃহবধূ রুনাকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে টাকা ধার করে স্বামীর সৌদি আরব যাওয়ার পর ঋণ শোধ করার চাপ ছিল স্ত্রীর ওপর। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে ছাড়তে হয়েছিল শ্বশুড়বাড়ি। হত্যায় শ্বশুড়বাড়ির কেউ জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখছে সিআইডি।

বহুবিধ চাপ একা সামলাতে হচ্ছিল নরসিংদীর রায়পুরার রুনা আক্তারকে। স্বামী থাকেন সৌদি আরবে। সংসারে ছোট ছোট তিন সন্তান। সে অবস্থায় শ্বশুড়বাড়িতে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির আত্মীয় স্বজনের দাবি ছিল, ধারদেনা করে যে টাকা দিয়ে স্বামী বিদেশে গেছে, সেই টাকা, শোধ করতে হবে, রুনার পরিবারকে।

এক পর্যায়ে স্বামী ও শ্বশুড়াবাড়ির স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করে, রুনা চলে যান বাবার বাড়ি। সেই মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয় স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। এসবের মাঝেই স্থানীয় খোরশেদ নামের এক ব্যক্তি রাজ্জাকের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দেয় রুনাকে। রাজি না হওয়ায় এর আগে আর্থিক সহযোগিতা করায় সেই টাকা ফেরত দিতে বলা হয় রুনাকে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, ঘটনাটি যেদিন সংঘটিত হয়েছে, সেদিন সন্ধ্যায় রুনা আক্তার তার মামার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাসাতে তার বাবাকে বলে বের হন। এরপর সাড়ে ৮টার দিকে তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি। পরদিন ধানক্ষেতে তার চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয়।

হত্যায় জড়িত খোরশেদ ও রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। রোববার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজারে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মুক্তাধর বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাদের সঙ্গে আরও যারা ছিলেন, তাদের নামও আমরা পেয়েছি। তদন্তের জন্য প্রকাশ করছি না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।

গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হয়ে পরদিন ধানক্ষেতে মেলে রুনার মরদেহ।