ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে পিটিয়ে ও পাথর ছুড়ে এক মুসলিমকে হত্যার প্রায় তিন মাস পরে চার্জশিট দিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে চার্জশিটে গোমাংসের অভিযোগ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাড়িতে গোমাংস রাখার অভিযোগে গ্রেটার নয়ডার দাদরিতে গণপিটুনিতে মারা যান ৫২ বছরের মোহাম্মদ আখলাক। ওই গণপিটুনির ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ওই দিন আখলাকের বাড়িতে গো-হত্যা করা হয়েছে বলে দাদরি এলাকার এক মন্দিরে ঘোষণা করা হয়। ফ্রিজে মাংস পাওয়া যায়। এরপরই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু ওই মাংস গরুর নাকি ছাগলের ছিল সেটি নিশ্চিত হতে ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ওই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন আখলাকের মেয়ে সাহিস্তা। তার জবানবন্দীর ভিত্তিতে আরো একটি অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দাদরির ডিএসপি অনুরাগ সিংহ।
পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত আখলাকের ফ্রিজে পাওয়া মাংসের ফরেন্সিক রিপোর্ট তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। ফলে ওই রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আখলাকের ফ্রিজে থাকা মাংস গরুর নাকি ছাগলের ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।