ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: শরীরে আঘাতের চিহৃ, সহপাঠীদের বিক্ষোভ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মেডিক্যাল প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ইলমার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইলমা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. ফারহানা ইয়াসমিন।

রাজধানীর বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুলশান আরা বানু বলেন, ‘ইলমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে রক্ত জমাট বেধে ছোপ ছোপ কালচে দাগ রয়েছে। তার হাত-পা, ঘাড়ে লম্বা-লম্বি এবং থুতনিতে কালচে জখম ছিল।’তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তে সব ধরনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ইলমার চাচা গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, মরদেহ সাভারের ধামরাইয়ে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। তাকে ধামরাইয়ের পাঠানটোলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।এদিকে ইলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুতবিচার দাবি করেছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এই দাবি জানান।মানববন্ধনে নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী, সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীম বানু, প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং এলমার সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা অভিযোগ করেন, এলমাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এর নিন্দা জানিয়ে দ্রুতবিচার দাবি করেন।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেই ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ইলমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়। পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয় স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে। এরপর পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেেলআদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।