ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১ : নীতিমালা না থাকায় সেবার নাম করে কর সুবিধায় অ্যাম্বুলেন্স এনে রোগিদের জিম্মি করছে অসাধু সিন্ডিকেট। বিষয়টি নজরে আনায় নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। সেবার নামে রোগীর গলাকাটা বন্ধে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিচালায় নীতিমালা করতে যাচ্ছে বিআরটিএ।
তথ্যমতে, প্রতিটি হাসপাতালের মূল ফটক থেকে শুরু করে পার্কিং পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ আছে, সেবার নামে এমন বাণিজ্য ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত হাসপাতালের কিছু লোকজনও। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুলেন্সের নির্ধারিত ভাড়ার কোনো তালিকাও নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা। সুযোগ বুঝে একটি চক্র সেবাকে করেছে বাণিজ্যের হাতিয়ার।
এ ছাড়া ন্যূনতম সুবিধা ছাড়া অনেক গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে হয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্স। গাড়িগুলোতে রোগীর স্ট্রেচারের নিচে এক একটি গ্যাস সিলিন্ডার যেন জীবন্ত বোমা।
ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়, হাসপাতাল থেকে সিন্ডিকেটের বাইরে থাকা অ্যাম্বুলেন্সকে রোগী নিতে বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগের কথা অকপটে স্বীকার করে নিলো ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি।
সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বলছেন, অধিকাংশ জায়গায় ২০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। আমরা এই টাকাটা কোথায় পাবো? বাধ্য হয়ে রোগীদের কাছ থেকেই নিতে হয়।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন না থাকার কারণেই মূলত এ সমস্যা হচ্ছে। ধরুন, যেখানে ভাড়া আছে পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু বিপদে পড়া লোকটি না জানার কারণে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মুখপাত্র শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী বলছেন, অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া কখনই নির্ধারণ করা হয়নি। এখন যেহেতু অনেকেই অ্যাম্বুলেন্সকে ব্যবসা হিসেবে নিচ্ছে, তাই এ ক্ষেত্রে ভাড়া নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয়।
অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য, দালাল ও অসাধু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি জরুরি বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. নাজমুল করিম।
জরুরি সেবার নামে অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বৃদ্ধি ও তা প্রাপ্তি নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।