ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ : ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক , আমাদের মমতাময়ী মা ( মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) র সাথে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে । এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করবো। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরব থেকে নিজের ফেসবুক পোস্ট এমন কথার স্ট্যাটাস দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন ও নায়িকা মাহিয়া মাহির কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, মাহিকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন তিনি।
নানা ঘটনায় সমালোচনার মধ্যেই তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরেই নিজ দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ।
এর আগে গতকাল ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, আসসালামু আলাইকুম আমি মাহিয়া মাহি। এখন আছি হারাম শরীফে আছি মক্কাতে। সবাই নিশ্চয়ই জানেন যে আমি ওমরাহ করতে এসেছি। সেকারণেই ফোন, কলস রিসিভ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি ফোন হাতে রাখছি না। ইবাদত করতে এসেছি। ইবাদত ঠিক মতো করতে চাই। আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটি করছি তা হলো আমি নিজেই সেদিন খুব বিব্রত ছিলাম। আত্মসম্মান বোধ কতটা আসলে আঘাত হেনেছে। সেটা শুধু আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন। এবং আজকেও আমি ভীষণভাবে বিব্রত।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজে তো ছোট হয়েছি, দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম। আপনারা নিজের থেকে একবার চিন্তা করে দেখবেন। এই ভাষার প্রতি উত্তর বা এই ব্যবহারের প্রতি উত্তর আমার আসলে কী দেয়া উচিত ছিল। আদৌ আসলে কিছু বলার ভাষা আমার ছিল না। সেজন্য আমি নিজে কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমার মনে হয়েছে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত। আমি চুপ থেকেছি, পাশ কাটিয়ে গেছি। এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা। বরাবরের মতো সব সময় আল্লাহর কাছে বলি আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি তার উত্তর তিনি পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ।
মাহিয়া মাহি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে স্যরি বলার জন্য ভিডিওটা করছি। আমি সবার ফোন কল রিসিভ করছি না। এই বিষয়টি নিয়ে এখানে কথা বলার মতো মানসিকতাও আমার নেই। আপনারা আমার জায়গায় থেকে চিন্তা করবেন। আমি দোষী কিনা দোষী না। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের ওমরাহ কবুল করেন।