ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, শুক্রবার ,০৩ ডিসেম্বর ২০২১ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোয়াজ্জিন আজান দেওয়ার আগে মাইকে দরূদ শরীফ পাঠ করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘর খাদেম বাড়ি এলাকার খাদেমপাড়া নুর জামে মসজিদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও হেফাজতে ইসলাম সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— দেলোয়ার হোসেন লিটন (৩৫), সালাউদ্দিন রকি (২৯), ফরিদ উদ্দিন (৫০), হেলাল উদ্দিন (৪০), আবু খায়ের (৬০), ফয়সাল মিয়া (৩০), মুক্তিযুদ্ধা আলী আকবর, সিয়াম (১৬), সাদেকুর রহমান ও নিলুফা বেগম (৪০)।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর খাদেম পাড়ায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত (সুন্নি) মসজিদ হিসেবে পরিচিত খাদেম পাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করছিলেন মুসল্লিরা। এসময় নামাজের পূর্বে দরূদ শরীফ এবং পরে দোয়া পড়াকে কেন্দ্র করে হেফাজত ইসলামপন্থী হিসেবে পরিচিত সোহেল মিয়া, ফারুক মিয়া ও শরিফ মিয়া নামে কয়েকজন বাধা দেয়। এসময় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মুসল্লিরা বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরে উভয়পক্ষের তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে হেফাজতপন্থীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। এসময় আহলে সুন্নাতের কর্মী দেলোয়ার হোসেন লিটন এবং তার ভাই সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও আরও অন্তত ৩ জন আহত হয়।
হামলার ঘটনায় আহত দেলোয়ার হোসেন লিটন জানান, মসজিদের ভেতরে হেফাজত অনুসারী সোহেল মিয়া, নামাজের আগে দরূদ শরীফ পাঠ করতে বাধা দেয়। এসময় খতিব সাহেব বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। খতিব সাহেব বলেন, দরূদ শরীফ পাঠ করলে সোয়াব হবে, না পড়লেও কোনো সমস্যা হবে না। এই ব্যাখ্যায় সোহেল মিয়া মসজিদের কারও কথা শুনতে নারাজ। আহত লিটন আরও বলেন, সোহেল হেফাজতের অনেক শক্তিশালী লোক। হেফাজতের তাণ্ডবের সময় সে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আজকে মসজিদের প্রায় দুইশ মুসল্লির সামনে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, ঘটনাটি ঠিক হেফাজত কেন্দ্রিক নয়। এটি এলাকার অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।