ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),স্বাস্থ্য প্রতিনিধি,সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১ : প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে সরকারি হাসপাতালমুখী হওয়ার প্রবণতা কম বাংলাদেশের মানুষের। হয় ফার্মেসি, না হয় কাছের স্বল্প প্রশিক্ষিত কোন চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ খেয়েই নিরাময় খোঁজে মানুষ।
সরকারে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী আর্থিক সামর্থ্য, হয়রানির শঙ্কা এবং অসচেতনতা- সব মিলিয়ে চিত্র এমন দাঁড়িয়েছে যে, শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নেয় ফার্মেসি, গ্রাম্য চিকিৎসক বা কবিরাজদের কাছ থেকে।
শহর-গ্রাম সবখানের চিত্র একই। মনে হতে পারে নিরাময়টাই বড় কথা। কোথা থেকে সেবা নিল তা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের বাইরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার বিপদের দিকটি বললেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণা শাখার পরিচালক ড. মো. নুরুল আমিন।
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ফার্মেসি, গ্রাম্য চিকিৎসক, কবিরাজদের কাছ থেকে মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওষুধ খাচ্ছে। খারাপ মানের ওষুধ খাচ্ছে যেটাতে রোগী তার শারীরিক ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
করোনা মহামারিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব আগের চেয়ে বেশি স্পষ্ট এখন। তাই সরকারও চায় অপ্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে। এটি অসম্ভব নয় বলছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী।
তিনি বলেন, ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে কে কি করতে পারে সেটা জানিয়ে দেয়া যেতে পারে। এর বিপরীতে কিছু করলেই শাস্তির আওতায় আনা যেতে পারে। এতে সবকিছু একটি শৃঙ্খলার মধ্যে এনে আমরা আমাদের প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবাকে আরও উন্নত করতে পারি।’
এদিকে ড. মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘সরকারিভাবে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, টেস্ট এবং ওষুধ দিতে পারলেই সাধারণ মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা না নিয়ে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে যাবে। এজন্য সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগকে আরও কার্যকর হতে হবে।’
পৃথিবীতে অল্প যে কয়টি দেশ আছে যেখানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনা যায় তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিলেন অতিসত্বর এটি বন্ধ করার।