ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১ : নদীর তীরে এসে রো রো ফেরির ডুবে যাবার ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি বাংলাদেশে। এ দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ বাঁচলেও ক্ষতির মুখে পড়ে, ফেরিতে থাকা যানবাহনের মালিকরা।
এঘটনা নিয়ে গঠিত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ফেরির ভারসাম্য রক্ষার জন্য তলদেশে পানি রাখার স্থান বালাস্ট ট্যাংকের বাম দিকে দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি ফাটল ছিলো। তার উপরের দিকেও বেশকিছু ছিদ্র পাওয়া যায়। এছাড়া বাস্টার ট্যাংকের মুখগুলো নাটবোল্টের মাধ্যমে বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও তা খোলা ছিলো।
এছাড়া বাল্কহেড গুলোর ওয়াটার টাইটনেস না থাকায় ছিদ্র দিয়ে পানি এক কম্পার্টমেন্ট থেকে অন্য কম্পার্টমেন্টে সহজে ঢুকতে পেরেছে।
বিআইডব্লিউটিসির প্রকৌশল শাখা থেকে জানা যায়, ১৪ লাখ টাকা খরচ করে ৪ মাস আগে ফেরিটি বিআইডব্লিউটিসির নিজস্ব ডকে থেকে সংস্কার করে নদীতে নামানো হয়। আর আড়াই বছর আগে একটি বেসরকারি ডকইয়ার্ডে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা খরচ করে বদলানো হয় ফেরিটির প্রপালশন সিস্টেম অর্থাৎ পাখা সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা।
তদন্ত রিপোর্টের বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনার জন্য একক কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী দায়ি নয়। এটি বিআইডব্লিউটিসির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা।
আইনে ৪০ বছরের বেশি কোন নৌযান চলাচলের অনুমতি না থাকলেও, ডেনমার্কে তৈরি ফেরি আমানত শাহের বয়স ৪১ বছর।