ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুমিল্লা প্রতিনিধি,বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ : কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় দুবৃর্ত্তরা শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয়, মজুদ করেছিল বিপুল পরিমাণ হাতবোমা। দেশি তৈরি ৪৮টি হাতবোমা নিস্ক্রিয় করার পর তাতে স্প্রিন্টারের উপস্থিতি পাওয়ার দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থলে এসব বোমা বিস্ফোরিত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা। বোমার বিস্ফারণে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে কুমিল্লার গোমতী নদীর পাড়। ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল একে একে ৪৮টি হাত বোমা নিস্ক্রিয় করে।
বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকার একটি বাড়ি থেকে। তিনটি ব্যাগের মধ্যে দুটিতে পাওয়া গিয়েছিল হাত বোমাগুলো।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সঙ্গে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। ক্ষয়ক্ষতির আশংকা আছে তাই লোকালয় থেকে দূরে নিয়ে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত। এজন্য বেছে নেওয়া হয় গোমতী নদীর পাড়ে খোলা মাঠ।
পুলিশ বলছে, দেশি তৈরি বোমা হলেও তাতে পাওয়া গেছে স্প্রিন্টারের উপস্থিতি।
৪৮ টি তাজা হাতবোমা নিস্ক্রিয় করার পর পুলিশ বলছে, এগুলো যদি ঘটনাস্থলে অর্থাৎ যেখানে কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে বিস্ফোরিত হতো তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। দুবৃর্ত্তরা কুমিল্লা নগরীর অন্য কোথাও এরকম হাত বোমা ফেলে রেখেছে কিনা তার খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোহান সরকার বলেন, বোমাগুলোতে স্প্রিন্টারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া বেয়ারিং বলও ব্যবহার করা হয়েছে। বোমাগুলো সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৪৮ টি তাজা হাতবোমা নিস্ক্রিয় করার পর পুলিশ বলছে, এগুলো যদি ঘটনাস্থলে অর্থাৎ যেখানে কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে বিস্ফোরিত হতো তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। দুবৃর্ত্তরা কুমিল্লা নগরীর অন্য কোথাও এরকম হাত বোমা ফেলে রেখেছে কিনা তার খোঁজে নেমেছে পুলিশ।