ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মনির হোসেন ওরফে রুবেল (২৮), জাকের হোসেন ওরফে রাব্বি (২০), মো. রিপন (২১) এবং মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৬)। তাদের কাছ থেকে মন্দির থেকে লুট হওয়া সাতটি পিতলের প্রতিমা, তিনটি সিদুঁরের কৌটা, ২০টি বাতির কৌটা, দুটি দ্রুপতি, পাঁচটি পঞ্চ বাতির দানি, দুটি হাত ঘণ্টাসহ পূজার বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সেসব জানান।
তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালায়। গত ১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটপাট চালায়। ঘটনার কিছু ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা হয়। ঘটনার পর হামলা ও লুটকারীদের শনাক্ত-গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর একটি দল ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে। ঢাকার ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার রুবেল, রাব্বী ও রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। পরে দুটি বস্তায় মন্দিরের বিভিন্ন পিতলের পূজার সামগ্রীসহ মূল্যমান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তারা ধাতব জিনিসগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করছিল।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মন্দিরে মালামাল লুট করার সময় রুবেলের ভিডিও ফুটেজ মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মনির সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন। বাকি তিনজন তাদের সঙ্গে ছিলেন। মূলত তারা বিভিন্ন বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে এ হামলায় অংশ নেয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আগে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। পেশায় কেউ ট্রাক ড্রাইভার, কেউবা বাসের হেলপার।