ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুমিল্লা প্রতিনিধি,রোববার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ ; কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর পিএস মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান। তাকে বান্দরবানের সাজেক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৪ নভেম্বর সময় নিউজে উঠে আসে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে প্রথম প্রতিমা ভাঙচুর করেছিলেন সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সচিব মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবু। দাবি পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের। ট্রিপল নাইনে ফোন দেওয়া ইকরামও বিএনপিকর্মী। প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল ও ইকরাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত ছিল সারাদিনই। সময় সংবাদের হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে এমন চিত্র। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মেয়রের পিএস বাবু।
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ পাওয়া গেছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে যান প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও স্থানীয়রা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সময় সংবাদের কাছে আসা একটি ভিডিওতে প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে দেখা যায় সেখানে। ওই ঘটনা ট্রিপল নাইনে ফোন করে পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে ব্যক্তি সেই ইকরামকেও দেখা যায় সেখানে। দুজনকেই সেখানে দাঁড়িয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে ইকরামকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে। সেদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুও ছিলেন ঘটনাস্থলে। তার পিএস মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবু যার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর তিনিও ছিলেন সেখানে। সহিংসতায় উসকানি দিতে দেখা যায় তাকে। কুমিল্লা শহরের মৌলভীপাড়ায় অভিযুক্ত বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় গেটে তালা ঝুলছে।
পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন হলেও ১৩ অক্টোবর সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে তৎপর ছিলেন অনেকেই। এলাকাবাসী ও মণ্ডপ সংশ্লিষ্টদের দাবি, তাদের মধ্যে অন্যতম মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবু, যিনি সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর পিএস হিসেবে পরিচিত।
পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের দাবি সিটি মেয়রের পিএস বাবুই প্রথম প্রতিমা ভাঙচুর করে। ট্রিপল নাইনে ফোন দেওয়া ইকরামও বিএনপির কর্মী বলে দাবি তাদের।
কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল বলেন, মেয়রের যে পিএস সে প্রথম আমাদের মন্দিরে আঘাত করে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লার ঘটনায় দায়ের হওয়া এক ডজন মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই বিএনপি- জামায়াতের কর্মী।
বিএনপি নেতাদের দাবি, তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। সময় নিউজকে কুমিল্লা জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ওই সময় বলেছিলেন, বিএনপির কর্মীরা যাতে আন্দোলন করতে না পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা দেওয়া হচ্ছে।
ধর্ম অবমাননায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চার আসামিকে তৃতীয় দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।