ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),লাইফ স্টাইল প্রতিনিধি,শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ : প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে একসঙ্গে পথচলা দীর্ঘদিনের। পারিবারিকভাবেই হোক বা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই হোক, সারা জীবন সুখের থাকার প্রত্যাশা নিয়ে এ পথচলা দীর্ঘতর করার বাসনায় এ প্রেম পরিণতি পায় পরিণয়ে। কিন্তু সব সময় কি এই পথচলা দীর্ঘ হয়? জনসাধারণ বা তারকা নির্বিশেষে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটানোর পরেও বিচ্ছেদের ঘটনা হরদম ঘটছে। কিন্তু কেন এমন হয়? কোন কোন কারণে একটি সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে এবং শেষ পর্যন্ত এটি বিচ্ছেদের দিকে যায়? আসুন জেনে নিই এমন কিছু কারণ সম্পর্কে-
পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব
বন্ধুত্ব বা বিবাহ, যেকোনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে ভালো যোগাযোগের প্রয়োজন। সাধারণত বিবাহ বিচ্ছেদের কথা উঠলে মানুষ আর্থিক সমস্যা বা কমিটমেন্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলে। কিন্তু যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে এই সমস্ত সমস্যাগুলো গৌণ। পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবে সহজেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর কারণেই বিভিন্ন ঝামেলা উদ্ভূত হয়। যখন কোনও দম্পতি তাদের সমস্যা এবং পরিকল্পনা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে ভালো করে কথা বলতে ব্যর্থ হয়, তখন তাদের মধ্যে ঝামেলা হতে শুরু করে। আর, যখন তারা এই কমিউনিকেশন গ্যাপ পূরণ করতে না পারে, তখনই তাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঘনিষ্ঠতার অভাব
দম্পতিদের মধ্যে দূরত্ব এবং তাদের বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ ঘনিষ্ঠতার অভাব। কেবল ‘ভালোবাসি’ বললেই ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না, ব্যবহারেও ভালোবাসা ফুটে ওঠে। অনেক সময় শারীরিক স্পর্শও অনেক কিছুর প্রকাশ করে। আলিঙ্গন করা, চুমু খাওয়া বা হাতে হাত দিয়ে বসে থাকা, এই জাতীয় অঙ্গভঙ্গি দম্পতিদের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে তোলে। কিন্তু যদি এইটুকু শারীরিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্কের মধ্যে নিস্তেজতা এমন পর্যায়ে চলে আসে যে ডিভোর্স হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
নিজেদের মধ্যে মিল নেই
দম্পতির মধ্যে মিল না থাকলেই সমস্যা দেখা দেবে। যদি আপনি সম্পর্কের মধ্যে থেকেও নিজেকে একেবারে একা মনে করেন, তাহলে বুঝবেন আপনাদের মধ্যে কোনও কিছুই ঠিক নেই। এই বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট বড় কারণ হতে পারে।
ইমোশনাল সাপোর্টের অভাব
একটি সম্পর্ক শুধু ভালো আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে টিকে থাকতে পারে না। এর জন্য একে অপরকে ইমোশনালি সাপোর্ট করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় দম্পতিরা কমিউনিকেশন গ্যাপের পাশাপাশি ইমোশনালি সাপোর্টের অভাব অনুভব করে। এমন পরিস্থিতিতে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক দূরত্বও আসতে শুরু করে। একবার একে অপরের প্রতি আকর্ষণ কমে গেলে, একসঙ্গে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।