ফাইল ছবি
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার মারিশবনিয়ার পাহাড় থেকে নামার সময় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে ডাকাত বলে ঘোষণা দেন পুলিশের তিন সোর্স নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এমন তথ্য উপস্থাপন করেছেন মারিশবনিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মারিশবনিয়া মসজিদের ইমামসহ সংশ্লিষ্টরা বাঁধা দিলেও জোর করে মসজিদে ঢুকে পড়েন তিনজন। তারপর পাহাড় থেকে সিনহাদের ডাকাত বলে মাইকে ঘোষণা দিতে থাকেন।
দীর্ঘ এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পুলিশের সোর্সরা কীভাবে মাইকে সিনহাকে ডাকাত বলে ঘোষণা দিয়েছেন তার বর্ণনাও দেন তিনি।
এর আগে সিনহা হত্যা মামলায় তৃতীয় ধাপে সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিচারিক কাজ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
আজ এ মামলার দুই সাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও ডা. রণবীর দেবনাথ সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহত সিনহার বোন ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসসহ ১১ জন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে। ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
পরে র্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সবশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।