নতুন ঘরে দুই সন্তানের মা মাহিয়া মাহি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ : মিডিয়ায় অভিনয় করতে করতে এ জগতের কারও কারও বাস্তবিক জীবনের স্তরগুলো যেনো নাটকীয়তায় রূপ নেয়। তারা প্রকৃত ঘটনা আড়ালে রাখতে চাইলেও তাদের আচরণ বা চালচলনই বাস্তবিকতার ইঙ্গিত দেয়। সেই তাদেরই একজন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বিয়ের পরপরই তিনি ফুটফুটে ২ সন্তানের মা বনে যান। এরমধ্যে একটি ছেলে একটি মেয়ে। ছেলেটির নাম সোয়াইব ও মেয়েটির নাম সাইয়ারা। সন্তান দু’টির বাবা রাজনীতিক ও গাড়ী ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিব।

২০১৬ সালের ২৫ মে জমকালো আয়োজনে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে প্রথম বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। চলতি বছরের ২৪ মে তাদের পঞ্চম বিবাহ বার্ষিকীর আগমুহূর্তে মাহি জানান, একসঙ্গে থাকছেন না আর তারা। অন্যদিকে প্রথম স্বামী অপুও জানালেন তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। এরপর গুঞ্জন ওঠে মাহি কামরুজ্জামান সরকার রকিব নামের এক রাজনীতিক-ব্যবসায়ীকে বিয়ে করছেন। তবে সেই বিষয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘উই আর জাস্ট ফ্রেন্ড’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই চিত্রনায়িকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১২টা ৫ মিনিটে সেই ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ রকিবের সঙ্গেই দ্বিতীয় বিয়ের কাজটা সেরে ফেলেন ঢালিউড অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহির সদ্য বিবাহিত স্বামী রকিবের প্রথম সংসারের দুই সন্তান সোয়াইব ও সাইয়ারা। তবে মাহির বর্তমান স্বামী সরকার রকিবের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর ডিভোর্স হয়েছে কিনা সেটি এখনও জানা যায়নি।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মাহির শরীরের অংশ বিশেষের ছবি নিজের সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সরকার রকিব। এমন সম্পর্কের কারণেই কি- প্রথম সংসারের দাম্পত্য জীবনের অশান্তি নেমে এসেছে কিনা এমনটাই প্রশ্ন নেটিজেনদের। একইভাবে এই সম্পর্কের জেরেই কি প্রথম স্বামী অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে কিনা? সেই প্রশ্নও অনেকের।

কে এই সরকার রকিব?

তথ্য পাওয়া গেছে, সরকার রকিবের আবাস গাজীপুরে। সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে তিনি গাজীপুরেই আছেন। সঙ্গে রয়েছে তার প্রথম সংসারের দুই সন্তানও। সরকার রকিব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি গাড়ি ব্যাবসায়ী, ‘সনি রাজ কার প্যালেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ফেসবুকে নিজের বিয়ের ছবি মাহি নিজেই প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিয়ের মঞ্চে ব্যবসায়ী (বর) কামরুজ্জামান সরকার রকিবের পাশে বসে আছেন কনে মাহি। অভিনেত্রীর কাছ থেকে কাবিননামায় স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে।

বিয়ের বিশেষ এই মুহূর্তের ছবিটি প্রকাশ করে মাহি জানান, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ১২টা ৫ মিনিটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

ছবির ক্যাপশনে মাহি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আজ ১৩/০৯/২১ইং ১২টা ০৫ মিনিটে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হলো। এর আগের সব কথা আসলেই গুজব ছিল। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, এটাই একমাত্র চাওয়া।’

এর আগে গত ১১ জুন দিনগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে মেহেদি রাঙা হাত, কপালে ছোট লাল টিপ, নাকে ছিল নাকফুল, পরনে লাল কাতান শাড়িতে নববধূর মতোই সেজেছিলেন মাহি।

ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গানে, সিনেমায় এমনকি সব জায়গায় অনুভব করি, আলহামদুলিল্লাহ।’

মাহির ছবি ও ক্যাপশন দেখে তার ভক্তদের মাথা ঘুরপাক খেতে শুরু করে। কেননা সেই পোস্টটি তার বিয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে। তবে রকিবের সঙ্গেই বিয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয় ওই ছবির কমেন্ট বক্সে। সেখানে রকিব কমেন্ট করেছিলেন, ‘কে তুমি?’ জবাবে মাহি লিখেছিলেন, ‘বউ’।

পরবর্তীতে মাহির ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো আরও রোমান্টিক হয়ে ওঠে। ১৪ জুন লিখেন, ‘মিসিং ইউ।’ ১৮ জুন লিখেন, ‘আমি সারা দুনিয়া ঘুরিয়া দেখি, সুখ তো আমার ব্যালকনিতেই ছিল।’ এরপর লিখেন, ‘একজন কেউ থাকুক যে তোমাকে ছাড়বে না।’ তিনি লিখেছেন, ‘আমি ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখেছি, আবার ১২ দিনের সম্পর্ক আজীবন টিকে যেতেও দেখেছি।’

এখানেই শেষ নয়। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে মাহি ফেসবুকে ৩ বার লেখেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ’। আগস্ট মাসের ৬ তারিখে আবারও একইভাবে লেখেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ’। তার সেসব স্ট্যাটাসের কমেন্টবক্সে রকিবও লিখেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

ব্যক্তিজীবনে ২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। তবে শুরু থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছে বলে

গুঞ্জন চাউর হলেও সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিতেন নায়িকা। সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গেলো ২২ মে দিনগত রাতে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি স্পষ্ট করে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

মাহি লিখেন, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সঙ্গে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা।’

কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও মাহির বিয়ের গুঞ্জন ওঠে। মাহি সে বিষয়টি অস্বীকার করলেও গুঞ্জন পিছু ছাড়ে না। এ সংক্রান্ত কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যা ওই গুঞ্জনকে জোরালো করে।