ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,বুধবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ : কখনো মিনু কিংবা সুমি। কখনো আবার ফাতেমা বা রোমানা। একেক সময় এক এক নাম ধারণ করেন তিনি। আছে অন্তত ২টি জাতীয় পরিচয়পত্র। এক স্বামী থাকতে গোপনে বিয়ে করেন আরেকজনকে। এভাবে মেতে ওঠেন একের পর এক বিয়ে বিয়ে খেলায়। হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এমনি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। প্রতারণার শিকার হয়ে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করতে আসেন এক ভুক্তভোগী প্রবাসী। আদালত বিষ্ময় প্রকাশ করেন নারীর এমন চরিত্রে। পরে সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
যেন একই অঙ্গে অনেক রূপ। ৩-৪ বার করেছেন নিজের নাম পরিবর্তন। বদল করেছেন ঠিকানাও। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বানিয়ে নিয়েছেন একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র। যা দিয়ে করেছেন অন্তত ৩টি বিয়ে। তারপর হাতিয়ে নেন অর্থ -সম্পদ।
বুধবার চট্টগ্রাম আদালতে মিনু, সুমি, ফাতেমা ও রোমানা নামধারী এমনই এক নারীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী এক প্রবাসী। জমা দেন প্রতারণার নানা কাগজপত্র।
আর্জিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রহস্যময়ী ওই নারীর সাথে তার বিয়ে হয়। ১৬ দিন পর বিদেশ চলে যাওয়ার পরই প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে তার স্ত্রীর। নানা অজুহাতে চাইতে থাকে টাকা। শ্বশুর বাড়ি যেতে বলা হলেই নির্যাতন মামলার ভয়সহ দেয়া হয় নানা হুমকি ধামকি।
বহুরুপী এই নারীর বাড়ি রাঙামাটির মারিস্যায়। প্রতারণায় সহযোগী হিসেবে উঠে আসে আরো ২ জনের নাম। মামলার আসামী করা হায় তাদেরও। শুনানী শেষে মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট।
জানা গেছে, ছদ্মনামধারী এই নারী বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে কাজ করেন নার্স হিসেবে। বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।