পাস করা শিক্ষার্থীর সনদে ফেল করার তথ্য বসান তারা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১ : শিক্ষা বোর্ডের কর্মীদের টাকা দিয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের তথ্য পাস করা শিক্ষার্থীদের সনদের সাথে বদলের ঘটনায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নূর রিমতি, জামাল হোসেন, এ কে এম মোস্তফা কামাল, মো. মারুফ, ফারুক আহম্মেদ স্বপন, মাহির আলমা ও আবেদ আলী।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রমনা ও চকবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, নূর তাবাসসুম নামের এক শিক্ষার্থীর মায়ের ফোনে একটি এসএমএস আসে যে, তার মেয়ের সার্টিফিকেটের নাম পরিবর্তন হয়ে নূর রিমতি হয়েছে। বিষয়টি তাদের কাছে অস্বাভাবিক লাগলে তারা স্কুলে যোগাযোগ করে। সেখান থেকে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে দেখা যায় এসএসসির পাশাপাশি পিএসসি, জেএসসির সার্টিফিকেটেরও নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে।

পরে নূর তাবাসসুমের পরিবার ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্তের ভার নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

তদন্তে নেমে নূর রিমতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, নূর রিমতি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সিটি মডেল কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। কিন্তু তার ইতালি যাওয়ার জন্য এসএসসি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। জাল সনদ তৈরির জন্য তিনি তার মামা জামাল হোসেনের মাধ্যমে এ কে এম মোস্তফা কামালের সঙ্গে তিন লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন।

চুক্তি অনুযায়ী মোস্তফা কামাল শিক্ষা বোর্ডের দালাল মো. মারুফ, মাহবুব আলম, ফারুক আহম্মেদ স্বপন ও আবেদ আজাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নূর তাবাসসুমের জেএসসি এবং এসএসসি পাসের তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর তারা প্রথমে শিক্ষার্থীর বাবার নাম, মায়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন করেন।

শিক্ষা বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী টাকার বিনিময়ে বোর্ডের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট আর্কাইভে নির্ধারিত ফরমেটে সংরক্ষিত শিক্ষার্থী নূর তাবাসসুমের তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী নূর রিমতির তথ্যগুলো আপলোডের মাধ্যমে জাল সনদ তৈরি করেন। পরবর্তীতে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে নেন। এমনকি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও শিক্ষার্থীর পরিবর্তিত সংযোজিত তথ্য দেখায়।

হাফিজ আক্তার জানান, এই প্রতারক চক্র ঢাকাসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংযোজন করে জাল সনদ তৈরির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।