ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার,২২ আগস্ট ২০২১ :বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর বাসায় হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার আসামি শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শেখ সাইয়েদ আহমেদ দুটি মামলারই দুই নম্বর এজহারনামীয় আসামী।
র্যাব–২ এর অপারেশন অফিসার এএসপি ফজলুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শেখ সাইয়েদ বরিশালের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ নেই। আজই তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের মাধ্যমে এই আসামিকে বরিশালে পাঠানো হবে।
এদিকে, শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, আমার কারণে আওয়ামী লীগের এত বড় ক্ষতি আমি কখনোই চাইব না। সেই জায়গা থেকে আমি এখান থেকে চলে যাব আমার কোনো অসুবিধে নেই।
তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি, বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি, পুরো ভিডিও ফুটেজটা আমরা দেখতে চাচ্ছি। আমাদের চাহিদা বেশি না, পুরো ভিডিওটা আমরা দেখতে চাই। সবাই বলছে, সেটা দেখে আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি বা আমার দলের নেতাকর্মীরা যদি অপরাধী হয়ে থাকে এটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
মেয়র বলেন, ‘আগষ্ট মাসে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। এ মাসে আমি আমার পরিবারকে হারিয়েছি। আমার মনে বা আমার বাবার মনে কী চলছে এটা আমরা বুঝি। করলে অনেক কিছুই হতো। কিন্তু আমরা কার বিরুদ্ধে করব। যেটাই হবে সেটাই আমার দলের বিরুদ্ধে যাবে, সেটাই আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে যাবে। আমরা কাজ করি তার জন্য। প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দেব।
জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে আন্দোলন বন্ধ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া তিনি কাউকে হয়রানি না করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।তিনি আরও বলেন, আমি বার বার বলি আওয়ামী লীগ আছে, আমি সাদিক আব্দুল্লাহ আছি। আওয়ামী লীগ যদি না থাকে আমি সাদিক আবদুল্লাহর কোনো মূল্য নেই।
সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, বরিশালের মানুষের স্বার্থে, আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই আমার বিচার করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর ইউএনও-এর বাসভবনের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও’র পক্ষ থেকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।