ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১ : জব্দ করা বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ এস২০৯ মডেলের সিলভার রঙের গাড়িটির মালিক কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। নাম পরিবর্তনের আবেদন করেও না হওয়ায় এখনো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সার্ভারে তা পুরনো মালিকের নামেই রয়ে গেছে। চ্যানেল২৪ এর অনুসন্ধানে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। আর এ কারণেই গাড়ির মালিকানা নিয়ে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি।
জানা যায়, ২০১৪ সালে এক কোটি ৩০ লাখ টাকায় গাড়িটি কেনেন দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্সের মালিক শফিকুল আলম মিথুন। আর গাড়ির কাগজ করা হয় দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্সের নামে। এরপর ২০১৮ সালে তিনি ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এর পর আরও দুই হাত বদল হয়ে ৪০ লাখ টাকায় কেনেন পিয়াসা। গত এপ্রিলে পিয়াসা গাড়িটি নাম বদলের আবেদন করেন। গত মাসে বিআরটিএতে তা পিয়াসার নামে রেজিস্ট্রেশন হলেও লকডাউনের কারণে সার্ভার আপডেট করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শফিকুল আলম মিথুন চ্যানেল২৪কে বলেন, ‘ঢাকা মেট্রো-গ-৩৯-৮৫৭৪ নম্বরের বিএমডব্লিউ আমাদেরই ছিল। যেটা আমি ২০১৪ সালে কিনে ব্যবহার শুরু করি। ২০১৮ সালে গাড়িটি আমার আপন ছোট ভাই রিফাত বিন আলমকে দিই। পরে সে তা বিক্রি করে দেয়। পিয়াসার গাড়ি জব্দ হওয়ার পরই জানতে পারি গাড়িটি এখনও আমার প্রতিষ্ঠানের নামেই আছে।
আরও পড়ুন: ‘রিমান্ডে পরীমণিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো?’
শফিকুল আলম মিথুনের ছোট ভাই রিফাত বিন আলম জানান, ভাইয়ের কাছ থেকে গাড়িটি নেয়ার পর আমি দুই বছর ব্যবহার করে তা ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বারিধারার ৭১ প্রগতি সরণিতে অবস্থিত নিড ফোর স্পিড নামের একটি গাড়ির দোকানে বিক্রি করি। সেই বিক্রির কাগজপত্রও আমার কাছে আছে। এরপর আমি আর কিছু জানি না। পিয়াসাকে গ্রেপ্তারের পর আমার সেই পুরোনো গাড়ি দেখে আঁতকে উঠি। তখনও ভাবিনি বিআরটিএতে গাড়িটি আমাদের নামেই আছে। গাড়িটির বর্তমান মালিকানার তথ্য আপডেট হয়নি। আমরা অনেক আগেই নাম পরিবর্তনের কাজ সেরে ফেলেছি। কিন্তু কেন এখনো বিআরটিএতে গাড়িটির মালিকানায় আমাদের নাম আছে বুঝতে পারছি না।
বিআরটিতে গাড়িটির মালিকানা পরিবর্তনসংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা গত ১২ এপ্রিল ঢাকা মেট্রো-গ-৩৯-৮৫৭৪ নম্বরের বিএমডব্লিউ গাড়িটির মালিকানা পরবর্তনের আবেদন করেন। আর আবেদনে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ সই করে ১২ জুলাই। আবেদনে পিয়াসা তার বনানীর বাসার ঠিকানা ব্যবহার করেন। বাবার নাম মাহবুব আলম বলে উল্লেখ করেন।