ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,রোববার, ০৮ আগস্ট ২০২১ : চাঞ্চল্যকর স্ক্যান্ডাল বেরিয়ে আসছে চিত্রনায়িকা পরীমণি, বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, মৌ, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্যদের ডিজিটাল মাধ্যম থেকে। তাদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট যাচাই বাছাই করছে সিআইডি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ)। তাদের ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে সিআইডি। জব্দকৃত মোবাইল ফোন থেকে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে অডিও রেকর্ড এবং গোপন ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে। যেসব ভিডিও ফুটেজ ও অডিও রেকর্ড দিয়ে পরীমণি ও পিয়াসা-মৌরা প্রভাবশালীদের ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন।
সিআইডি’র সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার (০৭ আগস্ট) দিনগত রাতে পরীমণি, পিয়াসা, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের বাড়িতে সিআইডি অভিযান চালিয়েছে। বনানীতে পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে তার ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে নিয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমণি, মডেল পিয়াসা-মৌ ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর ইস্যুতে দায়ের হওয়া মামলাগুলো সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্তভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নাম এলেও তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িত সবার বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সিআইডি। ইতোমধ্যে চিত্রনায়িকা পরীমণি, ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, প্রযোজক রাজ, মডেল পিয়াসা ও মৌ’য়ের ৭টি মামলা আমাদের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর হয়েছে। আসামিদের আমরা হেফাজতে পেয়েছি। ইতোমধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আইনের মধ্যে থেকেই মামলা তদন্ত করবে সিআইডি। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হবে। যারা সত্যিকারভাবে দোষী সিআইডি তাদের খুঁজে বের করবে।
সিআইডিতে পৃথক কক্ষে তারা
মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ প্রত্যেককেই পৃথক কক্ষে রাখা হয়েছে। গতকাল থেকে তাদেরকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিআইডি। আজ সকাল থেকেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তালিকায় থাকা কয়েকজন প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ী
পরী-পিয়াসা ও মৌয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ২১ প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ীর বিশেষ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বিতর্কিত মডেল পিয়াসার সঙ্গে ‘ইউ’ আধ্যক্ষরের একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) মোবাইল ফোনের কথোপথনের অডিও রেকর্ড উদ্ধার হয়েছে। একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ’র গোপন ভিডিও রয়েছে। পিয়াসার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের এক অলঙ্কার ব্যবসায়ীর বেশ কয়েকটি অডিও রেকর্ড পেয়েছে সিআইডি।
একটি অডিও রেকর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, পিয়াসাকে ‘ডায়মন্ডের’ অলঙ্কার উপহার দেওয়ার কথা বলেছেন ওই অলঙ্কার ব্যবসায়ী। এছাড়া ‘সি’ আধ্যাক্ষরের একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে পরীমণিকে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথোপকথন অডিও রেকর্ড রয়েছে। একইসঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও পরীমণির গভীর সখ্যতার কথোপকথন রয়েছে।
অপরদিকে, রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে পিয়াসার একটি ক্লাবে সময় কাটানোর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। গুলশানে একটি দামী ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রির শোরুমের মালিকের সঙ্গে পরীমণি ও পিয়াসার বহুবার কথোপকথন হয়েছে মোবাইল ফোনে। মদ বিক্রির দোকানের মালিক (যার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ) সঙ্গে পিয়াসার লং ড্রাইভে যাওয়ার কথোপকথন রয়েছে। বাংলাদেশে গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) শির্ষ পর্যায়ের সাবেক নেতার সঙ্গে পিয়াসার হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কয়েকবার কথপোকথন হয়েছে। তার মালিকানাধীন গুলশানের গাড়ির শোরুমে চোরাই গাড়ি বিক্রি হয় এমন অভিযোগও পেয়েছে সিআইডি ও র্যাব। মডেল পিয়াসা ওই চোরাই গাড়ি সিন্ডিকেটের সদস্য। ওই শোরুম থেকে পিয়াসার সহযোগী মিশুর চুরি করা একটি গাড়িও উদ্ধার করে র্যাব।
সিআইডি’র এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইল ফোন ও ফেসবুক আইডি তল্লাশি করে ২১ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে পিয়াসা, পরীমণি ও মৌ’য়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকার তথ্য মিলেছে। এর বাইরে পিয়াসার মোবাইল ফোনের কল লিস্টে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। ওইসব ব্যবসায়ীকে পিয়াসা বিভিন্ন সময় ফোন করে ব্ল্যাকমেইলিং করতেন।
কথিত মডেল মৌয়ের ১১ বিয়ে, অঢেল অর্থ-সম্পদের উৎস কি?
সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাসা থেকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ-এর সঙ্গে ভিআইপিদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে সিআইডি। একই সঙ্গে তার অঢেল সম্পদের উৎস খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে তার বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে বেশি কিছু আলামত।
মৌকে গ্রেপ্তারের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মৌ ১১টি বিয়ে করেছেন। তার সর্বশেষ স্বামী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। ধনাঢ্যদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা ছিল মৌ-এর পেশা। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার পর আরেকজনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। সাবেক স্বামীরা মৌ-এর অপকর্ম সম্পর্কে সবই জানতেন। তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক সময় নিজেরাই তাকে তালাক দিতেন।
গত ০১ আগস্ট রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৌ-কে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহাম্মদপুরে পাঁচতলা আলিশান বাড়ি রয়েছে তার। নেক্সাস, পাজেরো ও টয়োটা ব্র্যান্ডের ৩টি দামি গাড়ি চালাতেন মৌ। অথচ তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। মৌ মডেলিং পেশার আড়ালে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইলিং করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। মাদক ও অনৈতিক ব্যবসায় তার সংশ্লিষ্টতার কিছু প্রমাণ ইতিমধ্যে গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর অনেক ভুক্তভোগীই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
মৌয়ের নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত লাস্যময়ী তরুণী
তদন্তকারীদের কাছে তথ্য রয়েছে, মৌয়ের নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত লাস্যময়ী তরুণী রয়েছেন। এসব তরুণীকে দিয়ে তিনি অর্থশালীদের টার্গেট করতেন। কৌশলে তাদের বাসায় নিয়ে আসতেন। মদ খাইয়ে অচেতন করে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করতেন। পরে ওই ব্যক্তি যদি কথামতো কাজ না করতেন, তাহলে ভয় দেখানোর পাশাপাশি ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দরিদ্র পরিবারের সুন্দরী তরুণী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা মৌয়ের প্রতারণা চক্রের সদস্য। তারা দিনের বেলা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে রাতে সক্রিয় হতেন। তার বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবনের পাশাপাশি চলত অসামাজিক কার্যকলাপ।
মৌয়ে মামলার পূর্বের তদন্তকারী সংস্থা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের এক কর্মকর্তা জানান, ৩ দিনের রিমান্ডে গতকাল মৌকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার এত সম্পদের উৎস কোথা থেকে, কী কারণে তার আগের সব সংসার ভেঙে গেছে এবং সব বিয়েতেই মোটা অঙ্কের কাবিন ছিল কেন। বিয়ের ফাঁদ পেতে প্রতারণা করতেন কি না- এমন নানা বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কত দিন ধরে এবং এ পর্যন্ত কতজনকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন? এমন সব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মৌ।
এডিসি সাকলায়েনের সঙ্গে পরীর অনৈতিক সম্পের্কের অভিযোগ
আলোচিত ঢাকা বোট ক্লাব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েন। বিপুল মাদকসহ পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে পরীমণির গাড়িচালকও দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণি জানিয়েছেন, নিয়মিত কথা বলতে বলতে গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। এরপর তারা নিয়মিত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন। এমনকি সাকলায়েন তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তার সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান পরীমণি। সেখানে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন।
এরই মধ্যে পরীমণি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। ফুটেজটি সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের।
সেখানে দেখা গেছে, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনীর মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমণি।
রিসিপশনে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দু’জন লিফটে প্রবেশ করেন। পরে গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ট্রলি ব্যাগ। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত দেড়টার দিকে ওই ভবনের সামনে আবার আসে পরীমণির গাড়ি। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমণির পরনে ছিলো কালো রংয়ের পোশাক।
পরীমণির গাড়িচালক নাজির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পরীমণির সাথে ছিলেন ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন। তিনি বলেন, আমি ম্যাডামকে সকালে বাসা থেকে ওখানে দিয়ে আসি, আবার রাতে যেয়ে নিয়ে আসি। আমাকে ম্যাডাম রাতে ফোন করেন নিয়ে যাওয়া জন্য।
গাড়িচালক আরও জানিয়েছেন, হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দু’জন সময় কাটিয়েছেন, ঘোরাঘুরি করেছেন। একসঙ্গে মদপানও করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শুক্রবার রাত ১১ টায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন সরাসরি পরীমণির সঙ্গে পরিচয় বা সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, পরীমনির দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এখন এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।
ফলে পরীমণি কেনো- অন্য যে কারও সঙ্গে চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচারে লিপ্ত হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
আরেকটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান, পরীমণির সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তবে তা প্রেমের সম্পর্ক নয় এবং বিয়েও করেননি। উল্টো পরীমণি তার বাসায় পরীমণি যাওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। পরে তার বাসায় যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে জানালে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য না করে চুপ থাকেন।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা হোক বা যে কেউ হোক। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে, সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে। তারা যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন আইনের আওতায় আসতে হবেই। পরীমণির সঙ্গে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা তো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করব। সে কারণে মামলা সংক্রান্ত এবং আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাবে সে বিষয়গুলো তদন্তে আসামি ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।