ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার,বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১ : কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার অন্যতম সহযোগী মিশু হাসানকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ মিশু হাসান ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিকেলে কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
জানা গেছে, রাজধানীর উপকণ্ঠে সান ডেইরি নামের একটি গরুর ফার্মের আড়ালে মিশু দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্রের কারবারে জড়িত। মিশু এক সময় রাজধানীতে পেশাদার ছিনতাইকারী হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিলেন। পিয়াসা ও মিশুর অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের সঙ্গে ভিআইপিদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ। এই দুই মডেলকে ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ অপরাধের বিষয়টিও তদন্ত করছেন তারা। বিশ্লেষণ করা হচ্ছে পিয়াসা ও মৌয়ের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত।
বারিধারার ৯ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ি। ৫ম তলার অভিজাত ভবনটির ২য় তলার ফ্ল্যাটের ভাড়া প্রতি মাসে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এম আর গ্রুপের পরিচালক পরিচয়ে ২ বছরের চুক্তিতে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন মডেল ফারিহা মাহবুব পিয়াসা। অগ্রিম পরিশোধ করেছিলেন আরও কয়েক লাখ টাকা।
রোববার (১ আগস্ট) রাতে ফ্ল্যাটটিতে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াবা, বিদেশি মদ, সিসা তৈরির কাঁচামাল জব্দ করে। পার্টির নামে উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ব্যক্তিদের বাসায় ডেকে এনে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় ছিল পিয়াসার কাজ। ভবন মালিকের অভিযোগ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পিয়াসা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন।
এদিকে পিয়াসার দেওয়া তথ্য থেকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার আরেক মডেল মৌ আক্তারের রয়েছে মোহাম্মদপুরে ৫ তলা আলিশান বাড়ি। নেক্সাস, পাজেরো ও টয়োটা ব্র্যান্ডের ৩টি দামি গাড়ি চালাতেন মৌ। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে চলত পার্টি। আসতেন তরুণীসহ অনেক ব্যাক্তি।
পিয়াসা ও মৌ মডেলিং পেশার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলিং করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাদক ও অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই দুই মডেল। তাদের সম্পদের উৎস খুঁজছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এদেরকে কারা এ পেশায় এনেছে তাদের খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ গাড়ি ব্যবহার করছে, ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের বাসায় একা থাকছে। সেখানে মদের বার, সিসার বার তৈরি করছে। তাদের আয়ের উৎসটা কোথায়? তা আমরা খতিয়ে দেখছি।