ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), বিনোদন প্রতিনিধি,সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১ : সালমান-শাবনূর জুটির কালজয়ী সিনেমা ‘আনন্দ অশ্রু’। ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট মুক্তি পায় সিনেমাটি। দুই যুগ অতিক্রম করে ২৫ বছরে পদার্পণ করল ‘আনন্দ অশ্রু’। অমর নায়ক সালমান শাহ চলে গেলেও তার প্রত্যেকটি কাজ ভক্তদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ‘আনন্দ-অশ্রু’ সিনেমাটিও এই প্রয়াত নায়ককে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
সিনেমার কাহিনী শুরু হয় বড়লোক বাবার গান পাগল এক ছেলে খসরুকে দিয়ে। যার জীবনে গানই সব, গানের টানে ছুটে চলে আসে দেওয়ান পরিবারের ছেলে গ্রামে। পরিচয় হয় গ্রামের দূরন্ত ষোড়শী মেয়ে দোলার সঙ্গে। তার দুরন্তপনাতে মুগ্ধ হয়ে, প্রেমে জড়িয়ে পড়ে দুজন দুজনের।
ধনী গরীবের ভালোবাসার যে লড়াই দেখানো হয়ে থাকে অন্যসব ভালোবাসার সিনেমাতে সেখান থেকে বেড়িয়ে এসে পুরোপুরি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয় সিনেমাটিকে। এখানেই ‘আনন্দ অশ্রু’ সবার থেকে আলাদা। সম্পত্তির লোভে নিজের চাচার কাছে ষড়যন্ত্রে শিকার হয় খসরু। জোর করে ড্রাগ দিয়ে অসুস্থ করে রেখে ধীরে ধীরে পাগলে পরিণত করে তোলে খসরুকে।
মৃত্যু হয় একটি সুন্দর ভালোবাসার। সিনেমার শেষদিকে কাঞ্চির ভালোবাসা ও শাবনূরের মনের যন্ত্রণার সমাপ্তি ঘটে মর্মান্তিকভাবে। পবিত্র ভালোবাসা, বাবার স্নেহ, পারিবারিক কলহ, লোভ-লালসা, নতুন স্বপ্নে বেঁচে থাকার আশা -সব কিছু মিলিয়ে আনন্দ অশ্রু যেন পরিপূর্ণ সিনেমা।
সিনেমাতে নেই কোনো দুর্দান্ত অ্যাকশন, রগরগে দৃশ্য। তবুও অনন্য মহিমায় বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলোকিত হয়ে রয়েছে ‘আনন্দ অশ্রু’। তবে এই সিনেমার নামকরণের সার্থকতা হয়তো অনেকেই খুঁজে বেড়ান। পুরো সিনেমাতে তো শুধু অশ্রু আর অশ্রু। কিন্তু ভালোবাসার মানুষের পাশে থেকে নির্বিচারে তাকে ভালোবেসে যাবার নাম আনন্দ, আর সেই ভালোবাসার মানুষ যখন তার নিজের কাছের মানুষটিকে চিনতে না পারে সেই বেদনার নামই হলো অশ্রু।
সিনেমাটিতে রয়েছে দুর্দান্ত কিছু গান। এসব গানের কথা যেন সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যকে আরও জীবন্ত করে তুলেছিল। সালমান শাহ নেই, সেটা আমাদের জন্য বেদনা ও অশ্রুর তবে সালমান শাহ যেসব সাড়া জাগানো সিনেমা আমাদের জন্য রেখে গেছে তা আমাদের জন্য অবশ্যই আনন্দের
https://youtu.be/kGgL3ma9cfc