ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ০১ আগস্ট ২০২১ : আগস্ট- বাঙালির অশ্রুঝড়া শোকের মাস; লজ্জ্বার কালিমামাখা একটি মাস। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় ইতিহাসের কলঙ্কিত কালো তারিখ ১৫ আগস্ট। বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ঘৃণ্যতম এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফের ফিরে যায় পাকিস্তানি ভাবধারায়।
ব্রিটিশ শাসনের পর পাকিস্তানি শোষণ; বাঙালির ঘোর অন্ধকারে আলোর দিশারি হয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে আলোর পথরেখায় দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে রক্তের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি।
যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে নির্ভীক নেতৃত্ব, মেধা আর সম্মোহনী শক্তিতে বঙ্গবন্ধু দাঁড় করান স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের শক্ত ভীত।
নানামুখী ষড়যন্ত্রের লেজুড় কাটেনি তখনও; রাজনীতিতে ঘাপটি মেরে থাকা ‘কাল সাপ’ বিষ পুষে রাখে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সেই বিষে রক্তাক্ত হয় ধানমণ্ডি ৩২।
ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অনেকটা গর্বিত যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সাহস দেখিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু খুনীদের বিচারের কাঠগড়া দাঁড় করিয়েছেন। বিচারপতি কাজী গোলাম রসুল সাহসের সঙ্গে রায় দিয়েছেন।
আগস্ট আসে শোকে ম্রিয়মান হয় বাঙালি। খুনীদের বিচারে ক্ষোভ কমলেও, আড়ালে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের আদ্যোপান্ত জানতে চায় জাতি।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, খুন আর খুনীর পেছনে কিংবা অন্তরালে যে ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে দেশ ও বিদেশে, তাদের সম্পর্কে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তথ্য এসেছে কিন্তু আমরা জানি না। সেজন্য আমার বরাবরের দাবি একটি হোয়াইট পেপার প্রকাশ করা হোক।
ইতিহাসের নৃশংসতম এই হত্যাকাণ্ডে জাতির পিতার নিথর দেহের মতো থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ।