ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১ : এ যেন কুঁড়েঘর থেকে রাজপ্রাসাদে ওঠার গল্প। পেরুর দরিদ্রতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেদ্রো ক্যাস্তিলো। তার সাথে গ্রামের শ্রীহীন দোতলা বাড়ি ছেড়ে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে উঠতে যাচ্ছেন ফার্স্ট লেডি লিলিয়া প্যারদেস। তাদের সাদাসিধে জীবনের গল্প গুরুত্ব পাচ্ছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
লিলিয়া প্যারদেস। গ্রাম্যবধু থেকে এখন রাজরানি। বলছি, লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর নতুন ফাস্টলেডির কথা। দেশটির দরিদ্রতম জেলা আঙ্গুয়ায় বসবাস লিলিয়ার। জনাজীর্ণ বাড়িতেই কেটেছে তার ২০ বছর। গবাদি পশুপালন, মাটির তৈরি চুলোয় রান্না করেন তিনি এখনও।
পেরুর ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের নেই দামি গাড়ি। নেই ব্যাংক ব্যালেন্স; এমনকি খোদ রাজধানী লিমাতে থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাড়িও নেই নতুন প্রেসিডেন্টের। লিলিয়া বলেন, অট্টালিকা বড় কথা নয়, কেননা রাজত্ব উপভোগ করতে যাচ্ছি না। রাজভবনে শানশওকাত নয়, বরং জনগনের সেবার দিকেই মনোযোগ থাকবে আমাদের।
২৮ জুলাই শপথ নিয়েছেন পেরুর নতুন প্রেনিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলো। শপথ শেষে ফার্স্ট লেডি লিলিয়া প্যারদেস বলেন, সবার জন্য কাজ করবো, বিশেষ করে গরিবদের জন্য। মানুষের জন্য এমন কিছু করতে চাই, যা এর আগে কোন প্রেসিডেন্ট করেননি।
রাষ্ট্রপতির বাসভবনে যাওয়ার আগমূহুর্তে গ্রামের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শামিল হন প্রার্থনায়। লোকজ পোশাকও পরেন। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে একই ছায়াতলে অনন্য নজির গড়লেন এ দম্পতি। লিলিয়া বলেন, আমরা নিরহঙ্কারী মানুষ। কখনও ভুলবো না কোত্থেকে উঠে এসেছি আর কোথায় ফিরে আসতে হবে। কেননা সরকারী অফিস চিরস্থায়ী না।
২ সন্তান নিয়ে ৪ সদস্যের ছোট্ট পরিবার এ দম্পতির। বড়বোনের সাথে যৌথ পরিবারে বাস। গত ১ দশকেও সরকারী স্কুলে পড়েননি পেরুর কোনো প্রেসিডেন্টের সন্তান। তবে ফাস্টলেডির ঘোষণা, দামি স্কুল নয়, সরকারী স্কুলেই পড়বে তার সন্তানেরা।