নর্দমার পাশে পড়েছিলেন কলেজশিক্ষক, চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যু!

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),টাঙ্গাইল প্রতিনিধি,রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১ : টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের উদ্ধার করে কয়েক ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়। এ সময় অক্সিজেনের অভাবে সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ দাস জেনারেল হাসপাতালের বাইরে নর্দমার পাশে তিন ঘণ্টা পড়ে ছিলেন।

এমন অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য আতাউল মাহমুদ। ওই পোষ্টে দোষীদের শাস্তিরও দাবি করেন তিনি। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া তিনটার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের একটি শয্যার হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলায় আগুন লাগে। ওই সময় করোনা ইউনিটের রোগীরা আতঙ্কে হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নেন। স্কুল শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ দাসের স্থান হয় হাসপাতালের বাইরে একটি নর্দমার পাশে। সেখানে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে চরম দুঃসময় কাটে ওই শিক্ষক ও স্বজনদের। সন্ধ্যায় স্বজনেরা তাঁকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টাকালে তার মৃত্যু হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ওই শিক্ষককে প্রাণ দিতে হয়েছে।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য এবং বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল মাহমুদের দেওয়া পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘…আগুন লাগে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ ইউনিটে। আইসিইউ ইউনিটের রোগীদের সিলিন্ডার সংযুক্ত অবস্থায় অবস্থান হয় রাস্তায়। যার বলি আমার সখীপুরের পিএম পাইলট স্কুলের জনপ্রিয় শিক্ষক ধীরেন বাবু স্যার। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আপনাকে আর কী বলব? জাতি শুধু দেখছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা আর কী করবেন? শেখ হাসিনার সব অর্জনকে এভাবে আমরা একের পর এক ম্লান করে দিচ্ছি।’ এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কে বি এম খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, হাসপাতালের বাইরে নর্দমার পাশে খোলা আকাশের নিচে ধীরেন্দ্রনাথ দাস কয়েক ঘণ্টা পড়ে ছিলেন। আগুন–আতঙ্ক শেষ হওয়ার পর তাকে কেউ ভেতরে নেয়নি। অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে জেলা সিভিল সার্জন অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো প্রকার হতাহত হয়নি। যারা বেশি অসুস্থ ছিলেন তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।