ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ : ভারতের পাঞ্জাবে এক নারী তার স্বামী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন। এই অভিযোগে ওই নারী ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাঞ্জাবের ফরিয়াবাদ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে স্বামী ও তার দুই শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করেন মর্জিনা খাতুন ও অরিজিৎ সিংহ। পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
অরিজিৎ সিংহের সঙ্গে মর্জিনা খাতুনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তারা পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের গৌরি পঞ্চায়েতের হাতিয়া স্কুল সংলগ্ন পাঠালটুলির বাসিন্দা ছিলেন মঙ্গু শেখ। এক ঠিকাদারের অধীনে পঞ্জাবের সীমান্তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন মঙ্গু ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। গত বছরই পাঁচ বছরের ছেলে আলি শেখকে নিয়ে পাঞ্জাবে পাড়ি দিয়েছিল ওই দম্পতি। পরবর্তীতে ৮ বছরের সোহেল আলি ও মেয়ে আদুরি খাতুনকেও কর্মস্থলে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, কর্মসূত্রেই ঠিকাদার অরিজিৎ সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় মর্জিনার। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সহবাসও করে তারা। তাদের এই অবাধ মেলামেশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মর্জিনার স্বামী মঙ্গু। সেই কারণেই খুনের ষড়যন্ত্র করে প্রেমিক যুগল।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবে ফরিয়াবাদ সীমান্ত ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার বাড়িতে মঙ্গু ও তাঁর দুই শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে অরিজিৎ ও মর্জিনা। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ্যদর্শী আদুরি খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। তারপর খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জে।
মঙ্গু শেখের গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে পাঞ্জাবের হাসপাতালের মর্গ থেকে তিনজনের দেহ নিয়ে রায়গঞ্জের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। আজ শুক্রবার মরদেহ গ্রামে পৌঁছয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।