বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা ছিল হেফাজতের

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২৪ এপ্রিল : ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর আর হেফাজতের সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী নাশকতার উদ্দেশ্যই ছিল সরকার পতন। আর এতে সায় ছিল ইসলামি সমমনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বাংলাদেশকে পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের মডেল বানানোর পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির।

হেফাজত নেতাদের বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বক্তা হিসেবে নিতে বাধ্য করার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এবং চলতি বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের নাশকতায় হওয়া মামলার ৬৪টির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এসব মামলায় গেল দুই সপ্তাহে সংগঠনটির ১৬ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রিমান্ডে রয়েছেন অনেকেই। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে আবার যে নাশকতা হলো সেখানেও কিন্তু ৫ মে এর মতো একই ধরনের আরেকটি চক্রান্ত হয়েছে। সেটা আমরা তদন্তে অনেকটা পরিষ্কার হয়েছি।’

নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন দাবি করা হেফাজতের শীর্ষ পদ দখল করে আছেন বিভিন্ন ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা মূলত তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন হেফাজতের মাধ্যমে।

অধিকাংশ নেতার ধারণা, হেফাজতই এই মুহূর্তে একমাত্র সংগঠন যাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার যোগ্যতা আছে।

মাহবুব আলম বলেন, ‘হেফাজতের অধিকাংশ নেতাই মনে করেন, হেফাজতই একমাত্র প্লাটফর্ম যেটা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের শিরা হিসেবে কাজে লাগতে পারে। কোমলমতি যে মাদ্রাসাছাত্র আছে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ ধরনের অপচেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।’

‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন’ নামক সংগঠন তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংগঠনটি সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল নিয়ন্ত্রণ করার কথাও স্বীকার করেছে জিজ্ঞাসাবাদে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘তাদের জায়গায় জায়গায় সিন্ডিকেট রয়েছে। সেই সিন্ডিকেটকে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ-মাহফিলে নেওয়ার জন্য। এ ধরনের কর্মকাণ্ড তারা কিন্তু করে যাচ্ছেন।’

তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান অথবা আফগানিস্তানের মতো বানানোর পরিকল্পনা ছিল বলেও জানান পুলিশের মাহবুব আলম।