ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,০৫ এপ্রিল : নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের সাথে থাকা নারী কার স্ত্রী? তার নিজের দাবি আর ফোনালাপে তথ্যের গড়মিলে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। জনতার হাতে অবরুদ্ধ হলেও তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হেফাজত সমর্থকরা। এরপর একাধিক ফোনালাপ জন্ম দেয় আরো অনেক প্রশ্নের।
নারীসহ রিসোর্টে আটক, জনতার হাতে অবরুদ্ধ, সমর্থকদের হামলায় ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে টক অব দ্য কান্ট্রি ইসলামীদলগুলোর সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
ধরা পড়ার পর থেকেই দিচ্ছিলেন ব্রিভান্তিকর তথ্য। প্রথমে দাবি করলেন স্ত্রী, আবার নিজ স্ত্রীকে ফোনে বললেন, তিনি আরেকজনের স্ত্রী।
এরপর একে একে ফাঁস হতে শুরু করে ফোনালাপ। মামুনুলের সত্যিকারের স্ত্রীর সাথে কথপোকথন, স্ত্রী আর তার বড় বোনের আলাপ আরো কত কী? প্রতি ফোনালাপে ঘটনার ডালপালা ছড়ায় ঘটনা।
তবে এতোকিছুর পর রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডাকে হেফাজতে ইসলাম। যদিও নিজেদের একতরফা বিবৃতি ছাড়া, জনমনে দানাবাঁধা প্রশ্নগুলোর কোনো সদুত্তরই দিতে পারেনি হেফাজত নেতারা।
ঘটনার পরপরই মামুনুলের কথিত স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেন তার দুই সন্তান। মায়ের প্রতি তো বটেই, ক্ষোভ ঝাড়েন মামুনুলের ওপরও।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের মন্তব্য, যারা মসজিদকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা করে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, হেফাজাতীয় তাণ্ডবের কুশীলবরা আইনের আওতায় আসবেই। আর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মন্তব্য, মামুনুলের ঘটনা প্রমাণ করে হেফাজতের নেতৃত্ব নষ্ট।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশব্যাপী হেফাজতের তাণ্ডবে বেশ কিছু মামলা হলেও কোথাও আসামির খাতায় মামুনুল কিংবা হেফাজতের শীর্ষ নেতার নাম নেই।