ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ষ্টাফ রিপোর্টার,০৪ এপ্রিল : প্রতারণার এ এক নতুন ধরন। কখনো ভাইয়ের নামে, কখনো বান্ধবীর নামে অভিনব কায়দায় ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন, পি কে হালদার। ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে, তার ফুপাতো ভাই বলেছেন, “ভাই হয়ে আমার সাথে এমন প্রতারণা কেমন করে করলেন পি কে হালদার”। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি বলেছেন, পি কে হালদারের ক্ষমতার উৎস ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর।
মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে সেখানে কিন্তু থাকে। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব- যাকেই সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন পিকে হালদার, তাকেই অর্থশূন্য করে গেছেন।
পি কে হালদার এমন কর্মকান্ডের তথ্য উঠে এসেছে ৫-৬ জন আত্মীয় ও বান্ধবীর সিএমএম আদালতে দেয়া মর্মস্পর্শী জবানবন্দিতে। পিকের ভাই শংখ ব্যাপারী বলেছেন, তার কাছে প্রায়ই সাদা কাগজে সই নিতেন পি কে হালদার। পরে জানতে পারেন তার নামে ৮৩কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। বলেন, আপন ফুপাতো ভাই হয়ে আমার সাথে এমন প্রতারণা করতে পারেন পিকে হালদার তা তিনি ভাবতেও পারেননি।
২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি ছিলেন রাশেদুল হক। যিনি জবানবন্দিতে বলেছেন এস কে সুরের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ম্যানেজ করতেন পি কে হালদার। আর এই এসকে সুরই ছিলেন তার ক্ষমতার উৎস।
এদিকে পিকে হালদারের পালানোর ইস্যুতে এবার হাইকোর্টকে লিখিতভাবে দুদক জানিয়েছে, ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিদেশ যাত্রা ঠেকানোর জন্য সংস্থাটি যে চিঠি দিয়েছিলেন তার কোন ফিরতি জবাব মেলেনি।
সাধারন কৃষকের ছেলে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সুব্রত কয়েক বছর আগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ভুয়া এন আইডি ও জামানত ছাড়া ৮৮ কোটি টাকা ঋণ পান। যা দায়ে তার স্ত্রী শুভ্রা রানী ঘোষ সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন এয়ারপোর্টে।