আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান। ছবি: ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,৩১ মার্চ : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে হেফাজতকর্মীরা সারা বাংলাদেশে তাণ্ডব চালায়। এ ধরনের বর্বরোচিত আক্রমণের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হামলায় গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি হামলায় আহতদের শয্যাপাশে অবস্থান করে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হেফাজতের হরতাল ও নাশকতার ঘটনার মামলায় তাদের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নাম কেন আসেনি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘নাম না থাকলে যে তদন্তে তাঁদের নাম আসবে না, এমন কোনো কথা নেই। আমরা কোনো কিছুকে প্রভাবিত করতে চাই না। আমাদের দেশে একটি কাজ করলে দশ রকমের সমালোচনা শুরু হয়। আমরা মনে করি, যারা হামলা করেছে, তাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ নির্দেশদাতা থাকে, ডেফিনেটলি তারাও আসবে। কাউকে বাদ দিচ্ছি, এমন কোনো কথা বলছি না। আমরা বলছি, যারা অনস্পট ছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের সময় যারা নির্দেশ দিয়েছেন, তারাও আসবেন বলে আমরা মনে করি। তারা স্বাধীনতাকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন।’
পরে আইজিপি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘হেফাজত প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পরে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে কোমলমতি ছাত্রদেরকে ব্যবহার করেছে। হাজার হাজার ছাত্র হাটহাজারী থানা আক্রমণ করে। ওখানকার ডাকবাংলোয় আক্রমণ করে। হেফাজতকর্মীরা ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় ভূমি অফিসের সমস্ত কাগজপত্র, ল্যান্ড রেকর্ড একত্র করে তারা জ্বালিয়ে দেয়। সরকারের রেকর্ডপত্র জ্বালিয়ে দেওয়ার মানে হচ্ছে সেই অঞ্চলের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ বছরের পর বছর এ সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগবেন।’
আইজিপি বলেন, ‘একজন শিক্ষানবিশ এএসপি যিনি হাটহাজারী থানায় প্রশিক্ষণরত ছিলেন, তিনি ডাকবাংলোতে অবস্থান করতেন। তাঁকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। একইভাবে ডিউটিরত একজন কনস্টেবলকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকবাংলোর সামনে দায়িত্ব পালনরত একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) গুরুতর আহত করা হয়। এএসপি ও সাব-ইন্সপেক্টরকে প্রথমে চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। পরে সাব-ইন্সপেক্টরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় সিএমএইচে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় তারা। তাদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন ইন্সপেক্টর নুরুল আলম। তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।