এবার রিট করলেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,০৪ মার্চ : বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন ক্রিকেটার নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। রাকিবের সঙ্গে ওই রিটটি করেছেন সোহাগ হোসেন ও কামরুল হাসান নামে দুই ব্যক্তি এবং এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দায়ের করা ওই রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে।

রিটের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

হাইকোর্টে দায়ের করা ওই রিটে আর্জি জানানো হয়েছে, বিয়ে-ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে সম্মান রক্ষায় প্রতারণার হাত থেকে বাঁচিয়ে (বিয়ে-ডিভোর্সের ক্ষেত্রে) সম্মান রক্ষা এবং পারিবারিক জীবন বাঁচাতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠানো হয় প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ওই নোটিশ পাঠান তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।

‘বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশনের আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করার ফলে অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করার ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েও জটিলতা দেখা যাচ্ছে। বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক।’ এমনটাই উল্লেখ করা হয় সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো ওই নোটিশে।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির হোসেন ও স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলা করেন তাম্মির আগের স্বামী মো. রাকিব হাসান। মামলায় আগের বিয়ে গোপন রেখে নতুন বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যাভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে রাকিব হাসান এ মামলা করেন।

রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, মামলায় তামিমা সুলতানা তাম্মিকে এক নম্বর ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪, ৪৯৭, ৪৯৮, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩,০০,০০১ (তিন লক্ষ এক) টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে বাদী ও ১ নম্বর আসামি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে বাদীর ঔরসে ১নং আসামির গর্ভে একজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম রাখা হয় তোবা হাসান, বয়স-৮ বছর। ১ নম্বর আসামি (তাম্মি) পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তিনি গত ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। করোনা মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন।

গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাতির হোসেন। বিয়েকে স্মরণীয় করতে ভালোবাসা দিবসটিকেই বেছে নেন তিনি। নাসিরের স্ত্রীর তামিমা তাম্মি পেশায় কেবিন ক্রু। বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি নাসিরের স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে। সকাল থেকে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিমার আরেক স্বামী ও সন্তানের ছবি। রাকিব নামে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১১ বছর আগে। সেই ঘরে কন্যা সন্তানের বয়স এখন নয় বছর।

নাসিরের সঙ্গে বিয়ের ভিডিও ও খবর ছড়িয়ে পড়ার ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ জিডিটি করেন রাকিব।

জিডি করার পর রাকিবকে ফোন করে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেন নাসির।

রাকিবকে ও নাসিরের ফোন রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে কথোপথনে রাকিবের প্রশ্ন ছিল, আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সব কিছু জেনেশুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে, তার আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল সবকিছুই আমি জানি। আপনার বৌ আপনার সাথে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই আপনার ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসতো না।