কোম্পানীগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৫ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি,২০ ফেব্রুয়ারি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।  সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জনের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে বাজারের কাঁচাবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।গুলিবিদ্ধরা হলেন, বার্তাবাজারের অনলাইন পোর্টালের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।

অন্যদিকে গুরুতর আহতরা হলেন- চরফকিরা ইউনিয়নের মো. কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিযনের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪) ও মারুফ (২৫)।এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজার এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নেন আওয়ামী লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বাজারের দলীয় কার্যালয়ে দিকে যায়। হঠাৎ করে ওই মিছিলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক জামাল উদ্দিন লিটনসহ কিছু লোক বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ চলে।এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।